এবারের বাণিজ্যমেলায় মানুষ কেনাকাটা করছে কম, ঘুরছে বেশি। তারপরও যারা কিনছেন তাদের আগ্রহ ইলেকট্রনিক্স, খাবার, রান্নার তৈজস আর গৃহস্থালির সৌখিন পণ্যে। নতুন ভেন্যুতে যাতায়াতে এখনও অভ্যস্ত নয় দর্শনার্থীদের বড় অংশ। দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা বলছেন, বাণিজ্যমেলায় পণ্য দেখে গিয়ে বাসার কাছে শোরুমে অর্ডার করছেন সবাই। সাড়া মিলছে অনলাইনেও। তাই মেলা নিয়ে হতাশ হবার সুযোগ নেই।
পূর্বাচল হোক কিংবা শেরে বাংলা নগর। বাণিজ্য মেলা মানেই জনসমাগম। ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই। এসব মানুষের মাঝে ক্রেতা থাকেন, আবার কেউ আসেন নিছক ঘুরতে। তবে এবার নতুন আয়োজনে ক্রেতার আনাগোনা কম। আশপাশের এলাকা অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব, গাজীপুর কিংবা রাজধানীর কুড়িল, ভাটারা থেকে যারা আসছেন, তাদের অনেকের কাছে বাণিজ্যমেলা নতুন। তারা পণ্য দেখছেন বেশি তবে কিনছেন কম। আবার শেরেবাংলা নগরের নিয়মিত ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন নতুন অফারের। বিদেশিদের ভাবনা কোভিড নিয়ে। তবে পূর্বাচলে যাতায়াত নিয়ে দুর্ভোগের কথা বলছেন প্রায় সবাই।
পরিসর কমায় এবার পর্যাপ্ত পণ্য মেলায় সাজাতে পারেনি দেশীয় ব্র্যান্ড। তবে বেচাকেনা নিয়ে হতাশ নন কোম্পানির প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, স্টল ও প্যাভিলিয়নে এসে পণ্য দেখে শো-রুমে অর্ডার দিচ্ছেন ক্রেতাদের অনেকেই। সাড়া মিলছে অনলাইনেও। তাই মেলায় মোটাদাগে হাতে বহনযোগ্য ইলেকট্রনিকস, গৃহস্থালি পণ্য ও খাবার বেচাকেনা হচ্ছে বেশি। আয়োজকদের সিদ্ধান্ত, কোভিডের সংক্রমণ বাড়লেও মেলা বন্ধ হচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সবাইকে।