শনিবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর মধ্য বাড্ডার বাজার গলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাড্ডা থানা সূত্রের বরাতে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, তুরাগ থানার রাজাবাড়ী এলাকায় ভুক্তভোগী সোহেল ও গ্রেপ্তার মো. সাইফুর রহমান ওরফে সুমন বসবাস করেন। একই এলাকায় বসবাসের সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো।
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৯টায় ভুক্তভোগী সোহেল মোটরসাইকেলে করে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নিজ বাসা থেকে বাড্ডা থানাধীন মধ্য বাড্ডা পোস্ট অফিস গলিতে পৌঁছালে সাইফুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩/৪ জন দুষ্কৃতকারী তার পথরোধ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোনসহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে সাইফুর রহমান ভুক্তভোগীর বন্ধু জহিরুল ইসলামকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং মুক্তিপণের টাকা বিকাশের মাধ্যমে না দিলে সোহেলকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই খোরশেদ আলম রানার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাড্ডা থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়।
থানা সূত্রে আরো জানা যায়, মামলা দায়েরের পর বাড্ডা থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারে তৎপর হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও আসামির অবস্থান শনাক্তের পর শনিবার রাতে মধ্য বাড্ডার বাজার গলি এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজের সামনে অভিযান পরিচালনা করে সাইফুর রহমান ওরফে সুমনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত সোহেলকে উদ্ধার করে।
এসময় গ্রেপ্তার সাইফুরের হেফাজত হতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে যে মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে সাইফুর মুক্তিপণের টাকা দাবি করেছিল সেই মোবাইলফোনটিও তার হেফাজত হতে জব্দ করা হয়।
বাড্ডা থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাইফুরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপহরণের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।