বাজারে অব্যাহতভাবে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও সরবরাহ না বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, আর পাম সুপার ১৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দাম বৃদ্ধির পরও অজানা কারণে বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে বেশির ভাগ দোকানেই পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেল নেই। এক ও দুই লিটারের বোতলও প্রায় নেই বললেই চলে। কিছু দোকানে খোলা ও এক লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও দাম আকাশছোঁয়া। এতে তেল কিনতে আসা ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। তাদের অভিযোগ বাড়তি দাম নিতে ব্যবসায়ীরা তেল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজারেও ভোজ্যতেলের সরবরাহ কম দেখা গেছে। বিক্রেতাদের কাছে পাঁচ লিটারের বোতল নেই। যে দু-একটি দোকানে ছিল সেখানে এক ও দুই লিটারের বোতল দেখা গেছে। এদিন কারওয়ান বাজারে প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন প্রতিলিটার বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকায়। আমদানিকারকদের দাবি, বিশ্ববাজারে তেলে দাম বেড়েছে। প্রতিটন সয়াবিন তেলের দাম ১২শ’ থেকে বেড়ে ১৮শ’ ডলার হয়েছে। তবে বর্তমানে কিছুটা কমে ১৬শ’ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি জাহাজ ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বেড়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে।
রাসেল মাহমুদ নামে রাজধানীর একজন পাইকারি তেল বিক্রেতা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের তেলের দাম বাড়ায় দেশে তেলের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। তবে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার সয়াবিন ও পাম অয়েল আমদানির ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার, উৎপাদনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ ও বিপণন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তি থাকলেও দেশে তেলের দাম বাড়ার তো কথা নয়।