বুধবার (২৩ আগস্ট) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বেসরকারিখাত এবং সরকারি সংস্থাসমূহের মধ্যকার সমন্বয় সুসংহতকরণ’ শীর্ষক স্টেকহোল্ডার আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সামীর সাত্তার বলেন, স্থানীয় উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনার উপর আমাদের অর্থনীতির সাফল্য অনেকাংশে নির্ভরশীল, কারণ বাজারের অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্যোক্তারা যেমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তেমনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও মানের হ্রাসের ফলে ভোক্তারা মানসম্মত পণ্য প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হন।
তিনি ব্যবসায়ীদের হয়রানিমুক্ত ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা, ভোক্তা অধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোরারোপ করেন। ব্যারিস্টার সাত্তার ভ্যাট রিটার্ন প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনলাইন ও অটোমেটেড হওয়া প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন এবং ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসে যৌক্তিক হারে ভ্যাট কমানোর আহ্বান জানান।
এছাড়াও কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া দ্রুতকরণ, বিএসটিআই’র সক্ষমতা বাড়ানো এবং এনবিআর, ট্যারিফ কমিশন, প্রতিযোগিতা কমিশনসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থার মধ্যকার সমন্বয় বৃদ্ধির জন্য তিনি আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-এর মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের তৈরি পোষাক খাতের কমপ্লায়েন্স বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে এবং অন্যান্য খাতেও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে। দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সহায়ক নীতিমালা নিশ্চিতকরণ একান্ত অপরিহার্য।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায়িক কাজে প্রয়োজনীয় ‘স্যাম্পল’ ছাড়করণে যদি সময় বেশি লাগে, তাহলে ব্যবসা চলে যাবে ভিয়েতনামসহ প্রতিযোগী অন্যান্য দেশসমূহে, তাই এক্ষেত্রে সহজীকরণের কোনো বিকল্প নেই।
উত্তর সিটির মেয়র বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে আরও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সমূহ দ্রুত সংষ্কার একান্ত আবশ্যক বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, যারা ব্যবসা পরিচালনা অসাধু পন্থা অবলম্বন করছেন, তাদেরকে শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সিটি করপোরেশনে সকল সেবা দ্রুতসময়ে ও স্বচ্ছতার সাথে নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপস চালু করেছে এবং নগরবাসীকে তা ব্যবহারের আহ্বান জানান।
মেয়র আতিক জানান, উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চলে স্টার্ট আপ উদ্যোক্তাদের জন্য ‘পিও’ বক্স প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং উত্তর সিটি করপোরেশন আতওতাভুক্ত অঞ্চলের জন্য ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি সেবা অনলাইনে আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে, যেটি উদ্যোক্তাদের সময় ও ব্যয় হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও জানান, উত্তর সিটি করপোরেশনের গুলশান-২-এর ট্রাফিক সিনগ্যালগুলো ‘এআই’-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচেছ এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জায়গায় তা বাস্তবায়ন করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ইলেকট্রনিক বাস সার্ভিস চালুকরণে লক্ষ্যে বাস আমদানি ও রুট পার্মিট প্রদানে ক্ষেত্রে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ হতে সকল সহযোগিতা প্রদান করা হবে এ ব্যাপারে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।