কথাগুলো বলছিলেন শুক্রবার সকালে বাজার করতে আসা আঞ্জুমান আরা।
আঞ্জুমান আরার এই ক্ষোভ-হতাশার কারণ ও কথার সত্যতা মেলে বাজারে একটু ঘুরলেই। কারণ, কাঁচা পেপে ছাড়া কোনো সবজির দাম এখন আর ৫০ টাকার নিচে নেই। আগাম শীতকালীন সবজিগুলোর দাম তো চড়া রয়েছেই।
সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে, ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা প্রতি পিস। সরকার আলুর দাম বেঁধে দিলেও তা মানছেন না বিক্রেতারা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে বাজার ঘুরে দেখা যাচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে আলু।
সবজি ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন, এ সপ্তাহে দাম কিছুটা কমতে পারে। মফিজুল ইসলাম নামে একজন বিক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এখন পর্যন্ত সবজির দাম প্রায় একই রয়েছে। দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। আর সপ্তাহ তো মাত্র শুরু হলো, এখনই বলা যাবে না। শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। যে কোনো সবজির বাজারে এলে প্রথমে একটু বেশি দামে বিক্রি হয়। সিম ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, সময় গেলে এই সিমই ৫০ টাকায় বিক্রি করব।
রাজধানীর রায়ের বাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এই বাজারে ফুলকপি-বাধাঁকপি ৬০ টাকা, শালগম ৮০ টাকা কেজি, গাজর ১২০ টাকা, সিম ২০০, বেগুন ৯০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা ও শসা ৭০ টাকা এবং পেঁপে কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া করলা ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ১০০ টাকা, গোল বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, কচুছড়া ১০০ টাকা কেজি, কাকরোল ৮০ টাকা কেজি, পটল ৭০ টাকা কেজি, লতি ৮০ টাকা কেজি, ঢেড়স ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আশপাশের বাজারগুলোতেও দামের একই চিত্র দেখা গেছে।
ঝিগাতলা কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মোখলেচুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহে ফুলকপি বিক্রি ছিল ৫০ টাকা, আজ ৬০ টাকা। মূলা আর শালগম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি গত সপ্তাহে ছিল, বর্তমানে ৮০, একই দাম।
সবজির দাম কেন বাড়ছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শীতকালীন সবজি মৌসুম শুরু হয়েছে। তার মধ্যে বৃষ্টি-বাদল। বৃষ্টির কারণে সবজি বাজারে পর্যাপ্ত আসছে না। তাই শীতকালীন সবজির দাম একটু বেশি। গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সময় যতই বাড়বে কিছু সবজির দাম কমবে। তবে সহনীয় পর্যায়ে থাকলে মানুষের জন্য ভালো হয়। আমরা সবজি বিক্রি করলেও আমাদের কিন্তু কিনে খেতে হয়। দাম বাড়লে আমাদের পুঁজিও বেশি লাগে।