বাগেরহাট ডেমায় নির্বাচনী সংঘর্ষে ১৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য মো. সজিব তরফদার ও সদস্য প্রার্থী অহেদ মোস্তফা বাপ্পীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডেমা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৮ জনকে ভর্তি করেছি। তবে তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটা শর্টগানের গুলি হতে পারে।
আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য প্রার্থী অহেদ মোস্তফা বাপ্পি অভিযোগ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার সমর্থক নিয়ে দোয়া চাইতে বের হলে বর্তমান ইউপি সদস্য সজিব তরফদারের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে সজিব ও তার লোকেরা। তিনি আরও বলেন, এ সময় আমার সমর্থক রুহুল আমিন গাজী, নওশের শেখ, মাহফুজ শেখ, রবিউল, অনিক, মিকাইল, হেলাল গাজী, মিলন শেখ, বেলাল শেখ, হৃদয়, রিন্টু তরফদার আহত হয়েছেন। তবে আরও আহত থাকতে পারে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সজিব তরফদারের ভাই সোহেল তরফদার মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে জানান, আমার ভাই সজিব তরফদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মিন্টু তরফদার ও অহেদ বাপ্পিসহ কয়েকজন আমাদের বাড়িতে আসেন। তারা আমার ভাইকে ডাকাডাকি করলে তিনি বের হননি। এ সময় আমার মা সকিনা আক্তার বুলু বাইরে বের হয়ে কারণ জানতে চাইলে তারা গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এতে আমার মা, রিপন তরফদার, মেহেরুন বেগম, সোহেল ও সুজা তরফদার গুলিবিদ্ধ হন। আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমার মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন।
বাগেরহাট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সহিংসতার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে কি না তা চিকিৎসক নিশ্চিত করতে পারবেন।