বাগামারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থিতা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষ ঘটে। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের অভিযোগ, আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলা আমিন বিশ্বাস স্থানীয় খুঁজিপুর বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসা ছিলেন। এই সময় কয়েকজন যুবক তাকে ঘিরে ধরেন। তিনি কেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান, এই নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলেন। এক পর্যায়ে তারা দোকানের সামনে তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পিটুনি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে যুবকেরা চলে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, আউচপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার জান মোহাম্মদের নির্দেশে তার লোকজন আল আমিন বিশ্বাসের ওপর হামলা চালিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিনের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। আল আমিন এক সময় চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদের লোক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে কোনো কারণে মনোমালিন্যের জন্য এবার তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে একটি শালিসি বৈঠক চলছিল। হঠাৎ করে রক্ষিতপাড়া গ্রামের আছিরের ছেলে আল-আমিন বিশ্বাস হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে পরিষদে উপস্থিত হন। তখন বাহার আলী নামের এক ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা কাটা-কাটি হয় তার। এ সময় বাহার আলীকে ফেলে দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি নিয়ে হামলা চালান আল আমিন। আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে ছুতিকাঘাতের শিকার হন ৫ জন। ঘটনার সময় স্থানীয়রা হামলাকারী আল-আমিন বিশ্বাসকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে। উত্তেজিত জনতার আঘাতে আল-আমিন বিশ্বাস আহত হন।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চায়ের দোকানে রাজনীতিক বিষয় নিয়ে আলাপ করার সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ মামলা করতে আসেনি।’ মামলা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।