শনিবার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত ১ মে সকালে শ্রীপুরের যুগিরছিট গ্রামে ধানের খেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে আল আমিন ও নাজমুলের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে ওই দিন রাতেই নাজমুলকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে আল আমিন। এতে নাজমুলের পেটের নাড়ি-ভুড়ি বেরিয়ে যায়। নাজমুলকে বাঁচাতে তার মা ও বাবা এগিয়ে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাতে আল আমিন আহত করে। এরপরই গুরুতর আহতবস্থায় নাজমুলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ৮ দিন চিকিৎসা শেষে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত শনিবার রাতে নাজমুলের গ্রামের বাড়িতে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করে। দাফনের পূর্বে জানাজাতে উপস্থিত মুসল্লিদের উস্কে দিয়ে বক্তব্য দেওয়া হয়। জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করার পরপরই উত্তেজিত জনতা ঘাতক আল আমিনের বাড়ি, তার চাচা বাবুল ও স্বপন মিয়ার বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় বসতবাড়িতে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বসতঘরে থাকা সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, নাজমুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি জানান।