চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন চুক্তির জন্য আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়ার উচিত বিশেষ দায়িত্বশীলতা দেখানো। খবর এএফপির।
সোমবার (১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, তার প্রশাসন স্টার্ট (এসটিএআরটি) প্রতিস্থাপনে নতুন চুক্তির জন্য দ্রুত আলোচনা করতে প্রস্তুত।
এসটিএআরটি বা স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি নামে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার পারমাণবিক অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়ার উচিত তারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের কাজ আবারও শুরু করতে প্রস্তুত, তা দেখানো। তবে আলোচনার জন্য আগ্রহী অংশীদারের প্রয়োজন হয়, যা সরল বিশ্বাসে কাজ করে। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার নৃশংস ও বিনাপ্ররোচণায় আগ্রাসন ইউরোপের শান্তি বিনষ্ট এবং আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার মৌলিক নীতির ওপর আক্রমণ করেছে।
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চীনের পরমাণু অস্ত্র কম হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি এর সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। চীন প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীনের দায়িত্ব এমন আলোচনায় অংশীদার হওয়া। এটি হিসাবে ভুল হওয়ার ঝুঁকি কমাবে এবং সামরিক অস্থিতিশীলতার সমাধান করবে।
তিনি বলেন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও পারমাণবিক অ-প্রসারণের বিষয়ে বাস্তবিক আলোচনায় অংশ না নেওয়ায় আমাদের কোনো দেশের বা বিশ্বের কোনো লাভ নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র প্রযুক্তির বিস্তার রোধে পারমাণবিক অ-প্রসারণ চুক্তি বা এনপিটির কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে পরাশক্তি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, এনপিটি সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থপূর্ণ, পারস্পরিক অস্ত্র সীমার ওপর নির্ভর করে। এমনকি স্নায়ুযুদ্ধের চরম অবস্থাতেও যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন একসঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হয়েছিল।
বাইডেন বলেন, বিশ্ব আস্থা রাখতে পারে যে, আমার প্রশাসন এনপিটি সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং অ-প্রসারণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে।