বাংলাদেশ সীমান্তে আরও ৯টি হাট চায় উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট রাজ্য ত্রিপুরা। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্য নিয়ে সেখানে এই সীমান্ত হাটগুলো করতে চাইছে ত্রিপুরা।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠিয়েছে ত্রিপুরা। পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চারটি সীমান্ত হাট স্থাপন করার অনুমোদন দেয়। সাব্রুমের শ্রীনগর, সিপাইজলা জেলার কমলাসাগর, উত্তর জেলার পালবস্তি বা রাঘনা এবং ধলাই জেলার কমলপুরে এই হাট করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গঠন করার পরে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে আরও সাতটি সীমান্ত হাট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে এ প্রস্তাবের বিষয়ে দুই দেশের সরকার কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ভারতীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, দুই দেশের সীমান্তে থাকা ‘জিরো লাইন’-এর ওপরেই এই বিশেষ হাট তৈরি করা হয়। এর ফলে, দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষরা ওই হাটে গিয়ে জিনিস কিনতে পারেন। দুই দেশের সমান সংখ্যাক বিক্রেতা থাকে। সীমান্ত হাটে বেচাকেনা পুরোটাই করমুক্ত।