আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আসছে বড় পরিবর্তন। এবার থেকে আর নির্দিষ্ট ৬ ওভারে সীমাবদ্ধ থাকছে না পাওয়ার-প্লে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে এলে ইনিংসের মোট বলের প্রায় ৩০ শতাংশ সময় থাকবে ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতায়। আইসিসি নতুন নিয়মটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করছে এবং এটি প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে।
বর্তমানে ২০ ওভারের ম্যাচে প্রথম ৬ ওভার ছিল পাওয়ার-প্লে, যেখানে শুধু দুইজন ফিল্ডার বৃত্তের বাইরে থাকতে পারতেন। কিন্তু বৃষ্টি বা অন্যান্য কারণে ম্যাচ ছোট হয়ে গেলে সেই ৬ ওভারের পাওয়ার-প্লে অনেক সময় ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ত।
নতুন নিয়মে ম্যাচ যত ওভারে সীমিত হবে, সেই অনুযায়ী তার ৩০ শতাংশ বলেই থাকবে পাওয়ার-প্লে। এতে করে প্রতিটি ম্যাচে ব্যাট-বলের লড়াই হবে আরও সমানতালে এবং খেলার প্রতিযোগিতা বজায় থাকবে বলে মনে করছে আইসিসি।
এই নিয়মটি প্রথম চালু হয় ইংল্যান্ডের ‘টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট’ প্রতিযোগিতায়। যেখানে সফলভাবে প্রয়োগের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এই ধারায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। আইসিসির দাবি, ওভারের মাঝপথে পাওয়ার-প্লে শেষ হলেও কোনো জটিলতা দেখা যায়নি, বরং খেলায় স্বচ্ছতা ও ভারসাম্য এসেছে।
আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে এই নতুন নিয়মের বাস্তব প্রয়োগ।
উল্লেখ্য, শুধু পাওয়ার-প্লের ক্ষেত্রেই নয়। সাম্প্রতিক সময়ে আইসিসি বেশ কিছু নতুন নিয়ম সংযোজন করেছে ক্রিকেটে। এর মধ্যে আছে টেস্টে স্টপ ক্লক চালু, লালা মাখানো বল পাল্টানোর বাধ্যবাধকতা নেই, ডিআরএসে দ্বিতীয় রিভিউয়ের সুযোগ। আর ঘরোয়া ম্যাচে পুরো সময়ের বদলি খেলোয়াড় ব্যবহারের অনুমতি।