ঘরের মাঠে খেলা হচ্ছে, সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই নেপালের কাছে ১-০ গোলে হেরে সাফ অভিযান শুরু করেছে তারা। স্টেডিয়ামে নিজেদের দর্শক সমর্থন পেয়েও শেষ মুহুর্তে গোল হজম করে আর ফিরতে পারেনি। সেই মালদ্বীপ বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামবে। বাংলাদেশ ফুটবর দলও মালদ্বীপকে সিরিয়াস ম্যাচ হিসেবে নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোচ অস্কার ব্রুজনও ভারত ম্যাচের সব চিত্র ভুলে যেতে বলেছেন। তিনি নতুন করে পরিকল্পনা করছেন। কারণ, দলে লালকার্ড পাওয়া ফুটবলার বিশ্বনাথ ঘোষ খেলতে পারবেন না। প্রথমে শ্রীলঙ্কা এবং পরে ভারতের বিপক্ষে হলদুকার্ড পেয়েছেন মাঝমাঠের রাকিব হোসেন। এই ফুটবলারও নামতে পারবেন না মালদ্বীপের বিপক্ষে। এ নিয়ে টেনশন থাকলেও ব্রুজনের সাইড বেঞ্চে আছেন রহমত মিয়া, রাফি ও টুটুল হোসেন বাদশা।
অন্যদিকে, ডিফেন্ডার রেজা জ্বরে আক্রান্ত হলেও আশার খবর হচ্ছে তার জ্বর কমে গেছে। সে মঙ্গলবার অনুশীলনও করেছে। মিডফিল্ডার সোহেল রানার জ্বর ছিল, সেটা কাটিয়ে ভারতের বিপক্ষে পরে নেমেছিল। কোচ কীভাবে মালদ্বীপের বিপক্ষে দল সাজাবেন সেটা এখনো নির্ধারণ করেননি। তবে বুধবারের (৬ অক্টোবর) অনুশীলনের পর ম্যাচের দিন সকালে একাদশ নির্ধারণ করবেন ব্রুজন। মালদ্বীপ ম্যাচের পর বুঝা যাবে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশের রোডম্যাপ।
সুনীলরা চেয়েছিল আগুনঝরা আক্রমন করে বাংলাদেশের রক্ষণদুর্গ গ্রাস করে দেবেন। আগুনের গ্রাসে তপুদের ঘরবাড়ি ছাই ভস্মতে পরিণত হবে। ভারতের কোচ ইগর ষ্টিমাচ আগেই জানিয়েছিলেন কীভাবে ম্যাচ জিততে হয়। অস্কার ব্রুজন ক্লাব ফুটবলে সাফল্য পেলেও জাতীয় দলের সাফল্যের সঙ্গে সেটি তুলনা করা যায় না। জানা আছে তার রণকৌশল। উল্টো এমন হয়েছিল ১০ জনের বাংলাদেশ ভারতের রক্ষণদুর্গকে ঘোলা জলে পরিণত করল।
কী জবাব দেবেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর ষ্টিমাচ। ৫২ মিনিটে যখন বিশ্বনাথ লালকার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন, তখন ১০ জনের দলে পরিণত বাংলাদেশ। ৮২ ধাপ এগিয়ে থাকা ভারতের কাছে সহজেই মাথা নত করলে অবাক হওয়ারও কিছু থাকতো না। অস্কার ব্রুজন টোটকা দিলেন। ভয় পেলে কি চলে। মাত্র একটি গোল করতে হবে। হেরে তো গেছি। যুদ্ধে ঝাঁপাও। ডাগআউট হতে এমনটাই ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন তিনি। ভয়কে জয় করতে হবে। ফরমেশনে পরিবর্তন আনতে বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল যুদ্ধের ময়দানে বেঞ্চ থেকে তুলে ঠেলে দিয়েছিলেন সুফিল, সোহেল রানাদের।
ভারতকে হারাতে না পারলেও ১-১ গোলের ড্র-কে সাফল্য হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ শিবির। এখান থেকেই প্রেরণার উৎস খুঁজে পাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোচিং ষ্টাফ, খেলোয়াড়রা। মার্টিন, অনিরুদ্ধ থাপা, শুভাশিষ বসু, মানভির সিং, সুনীল ছেত্রীরা বল দখলের লড়াই ৭০ ভাগ এগিয়ে ছিলেন। এর মধ্যে ব্রুজন পরিকল্পনা করেছিলেন সুনীলকে নিয়ে। কারণ ভারতীয় অধিনায়ক ব্রুজনের অধীনে খেলেছেন। কীভাবে রাখতে হয় সেটার প্রমান দিলেন ১০ জনের বাংলাদেশের বিপক্ষে সুনীল কিছু করতে পারেননি। এখন এসব কিছু ভুলে যেতে বললেন কোচ অস্কার ব্রুজন। মঙ্গলবার যখন অনুশীলনে নামলেন তখন সবাইকে কান খুলে শুনে রাখতে অস্কার বললেন, ‘ভারত ম্যাচ ভুলে যাও। মালদ্বীপকে নিয়ে ভাবো।’