টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে চমক ছিল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বাদ দেয়া। এছাড়া হঠাৎ করে নাজমুল হোসেন শান্তকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে অন্তর্ভূক্ত করা নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি তখন। স্কোয়াডের বাইরে চারজনকে রাখা হয়েছিল রিজার্ভ বা স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড় হিসেবে।
তবে, বিশ্বকাপের সেই স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে পারে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে আরব আমিরাতের দুই ম্যাচ এবং নিউজিল্যান্ডের চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের খেলা দেখার পর বিশ্বকাপের দলে অন্তত দুটি পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে জানা গেছে বিসিবির নির্ভরযোগ্য সূত্রে।
জানা গেছে, কোনো ইনজুরিছাড়াই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পরিবর্তন আনার সুযোগ রয়েছে দলগুলোর সামনে। এই সুযোগটাই গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।
আরব আমিরাতে ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এবং ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচগুলো দেখার পর এমনিতেই বাতাসে গুঞ্জন ভাসছিল, বিশ্বকাপের স্কোয়াডে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
অবশেষে সেই গুঞ্জনকেই সত্যতা দিলেন বিসিবির একজন সিনিয়র পরিচালক। বিসিবির নির্ভরযোগ্য সেই সূত্র জানিয়েছেন, অন্তত দুটি পরিবর্তন আনা হবে দলে। যদিও তিনি কোন দুই খেলোয়াড়কে বাদ দেয়া হবে এবং কোন দু’জনকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে, সে তথ্য জানাননি।
তবে বিসিবি এবং জাতীয় দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রের সঙ্গে আলাপে জাগোনিউজ জানতে পেরেছে যে, বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়তে পারেন ব্যাটার সাব্বির রহমান রুম্মন এবং বোলার এবাদত হোসেন। এই দু’জনের পরিবর্তে দলে জায়গা পেতে পারেন ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলা ওপেনার সৌম্য সরকার এবং পেসার শরিফুল ইসলাম।
বিশ্বকাপের স্কোয়াডে যে চারজনকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছিল, সেখানে নাম ছিল শরিফুল এবং সৌম্য সরকারে। বাকি দুজন হলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন এবং স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মাহদি হাসান।
সৌম্য সরকার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগ পান। ব্যাট হাতে ঝড়ো ২৩ রান করেছিলেন তিনি। পেসার শরিফুল অন্যদের তুলনায় মোটামুটি ভালো বোলিংই করে যাচ্ছেন। সুতরাং, বিশ্বকাপের স্কোয়াডে এই দু’জনের প্রবেশ করাটা প্রায় নিশ্চিত।
বিসিবির সেই নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ১৫ তারিখ পর্যন্ত যেহেতু সুযোগ আছে। আমরা এর মধ্যেই পরিবর্তনের কাজটা করে নেবো।