বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি’ আইন ২০২৩-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এখন সিপিটিইউ (সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট) আছে একটি ইউনিট হিসেবে। ইউনিটটি পরিবর্তন হয়ে অথরিটি হবে। এখন একটা আলাদা অফিস হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিপিটিইউ গণখাতে পাবলিক সেক্টরের ক্রয়ের ক্ষেত্রে আইন, বিধি প্রণয়ন করে। আমাদের টেকনিকেল সাপোর্ট দেয়, পরামর্শ দেয়। অথরিটিও এ কাজগুলো অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ২০০১-০২ সালের দিকে আমাদের সরকারি খাতে সব মিলিয়ে ক্রয় হতো ১৮-১৯ হাজার কোটি টাকা। এখন এক বছরে গড়ে দুই লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। ১১ থেকে ১২ গুণ বেড়েছে। ওই অফিস দিয়ে, ওখানে যারা স্টাফ আছে তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে এটা করা এখন খুবই ডিফিক্যাল্ট।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে অথরিটির অফিস ঢাকা কেন্দ্রীক হবে। প্রয়োজন হলে তারা ঢাকার বাইরে অফিস করতে পারবে।
এদিকে আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, পরিকল্পনামন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে এ কর্তৃপক্ষের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মেয়াদ হবে তিন বছর।
পরিচালনা পর্যদকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত নীতি, কৌশল ও আইনি কাঠানো প্রণয়ন, কর্তৃপক্ষ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নীতি প্রণয়ন, উন্নয়ন সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করতে হবে।
এ আইন হলে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটিকে দেশের সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত আইনের প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ, পরিবীক্ষণ, সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান করতে হবে।
বাংলাদেশ ই-গভর্মেন্টন প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বিধিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধনী প্রস্তাব আনা, ই-জিপি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা এবং ই-জিপি সংক্রান্ত তথ্য, উপাত্ত ও তথ্যভাণ্ডার সংরক্ষণ, আদর্শ দরপত্র প্রস্তাব বা দলিল এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত অন্যান্য দলিলের নমুনা প্রস্তুত করে তা অনুমোদন দিয়ে বিতরণও করতে হবে এ কর্তৃপক্ষকে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, যেসব ক্রয়কারীর ওপর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন প্রযোজ্য তাদের কাছ থেকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য, দলিল ও নথিপত্র তলব করতে পারবে এ কর্তৃপক্ষ।
সরকারি কেনাকাটায় কোনো ব্যত্যয় হলে তা সংশোধনে কোনো ক্রয়কারীকে ক্রয় প্রক্রিয়ার পরিবর্তন ও সংশোধন করার পরামর্শ, সুপারিশ অথবা প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দিতে পারবে এই কর্তৃপক্ষ। একজন অতিরিক্ত সচিবকে এই কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।