সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগী শক্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে দেওয়া প্রস্তাবে দলটি উল্লেখ করে—বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সময় এসেছে সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগী শক্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে আয়োজিত নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে এ প্রস্তাব দেয় জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাপ। সংলাপে অংশগ্রহণ করে তারা তিন দফা প্রস্তাব দেয় রাষ্ট্রপতিকে। আলোচনা শেষে বেরিয়ে এসে দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমরা নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করতে পারিনি। যা এযাবৎকালের সব শাসকগোষ্ঠীর চরম ব্যর্থতা ছাড়া অন্য কিছুই নয়।’
গানি বলেন, ‘বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া অর্থবহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বারবার এই কমিশন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি দ্রুততম সময়ে সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নে আইনের বিধানাবলি অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশা রাখি।’
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া প্রস্তাবে ন্যাপ উল্লেখ করেছে—নির্বাচন কমিশনকে একটি আধুনিক ইলেকটোরাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস) অর্থাৎ একটি আধুনিক নির্বাচন ব্যবস্থা বা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। বর্তমান বিশ্বে তদারকি (মনিটরিং) ও নিরাপত্তার জন্য নানাবিধ প্রযুক্তি সহজলভ্য। প্রতিটি নির্বাচনি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব। যেমন- পিপলস কাউন্টিং মেশিন, সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা, রেকর্ডিং ও লাইভ স্ট্রিমিং প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।
প্রতিনিধি দলে দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি, ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব আতিকুর রহমান, কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া ও মিতা রহমান।