দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠের বাইরেও ছড়িয়েছে কথার উত্তাপ। যার শুরুটা অবশ্য করেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে স্লেজিংয়ের নামে ‘গালিগালাজের’ অভিযোগ আনেন দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারের পর। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন স্বাগতিক অধিনায়ক। উল্টো মুমিনুলদের কটাক্ষ করে ডিন এলগার জানালেন, বাংলাদেশ দল এ পর্যায়ে খেলার জন্য অতটা অভ্যস্ত নয়।
বৃহস্পতিবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এলগার বলেন, ‘তাদের (বাংলাদেশ দল) অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। দেখুন, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলি। যদি কিছু হয়েও থাকে, সেটি আমরা ওদের ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম। কারণ, আমরা যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখন আমরাও স্লেজিংয়ের শিকার হয়েছি। আমাদেরও স্লেজিং করা হয়েছে। আমার মনে হয় ওদের আরও কঠোর হওয়া উচিত। হয়তো ওরা এ পর্যায়ে খেলার জন্য অতটা অভ্যস্ত নয়।’
বাংলাদেশের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এলগার, ‘আমরা খারাপ ভাষায় কথা বলিনি। খেলোয়াড়দের প্রতি আমার গৌরব ধরে রাখার বার্তা ছিল। আমাদের সম্মানহানি হোক এমন কিছু করতে চাইনি। আমি খুব বাজে কোনো স্লেজিং হতে দেখিনি। ওদের পক্ষ থেকেও দেখিনি। আমি মনে করি এটাই টেস্ট ক্রিকেট। খেলাটাই হয় পৌরুষ আবহে। আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটই খেলতে চাইব। এর মানে এই নয় যে আমরা গালিগালাজ করব, বাজে ভাষায় কথা বলব। কারণ, আমরা তাদের সম্মান করি।’
এদিকে প্রথম টেস্ট হেরে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে এমন অভিযোগ আনলেও আজ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি একেবারেই এড়িয়ে গেলেন মুমিনুল। জানালেন, তারা এমন কোনো অভিযোগ করেননি।
মুমিনুলের ভাষায়, ‘আমি স্লেজিং নিয়ে কোনো অভিযোগ করিনি। ক্রিকেটে স্লেজিং হবেই। এটা মেনে নিতেই হবে। এটাকে সহজভাবে নিতে হবে। আমি এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করিনি। আপনি হয়তো ভুল শুনেছেন।’
অথচ এর আগে অভিযোগ তুলে মুমিনুল বলেছিলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে স্লেজিং সব সময় হয়। স্লেজিং হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্লেজিং যখন গালাগালির পর্যায়ে চলে যায়, এটা খুব খারাপ। আমার মনে হয়েছে, মাঝেমধ্যে ওরা গালাগালি করছিল, খুব বাজেভাবে। যেটা আম্পায়ার ওইভাবে খেয়াল করেননি।’