হৈ চৈ হয়েছে টপ অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে। লিটন দাস, সৌম্য সরকারের গুষ্ঠি উদ্ধার করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভাবটা এমন ছিল- লিটন দাস, সৌম্য সরকার আর মুশফিকুর রহিমের চরম ব্যর্থতায়ই দলের ভরাডুবি ঘটেছে। তারা রান করতে পারেননি, তাই একটি ম্যাচেও পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেননি। ৬ ওভার পুরো হবার আগেই আউট হয়ে গেছেন। যাতে করে স্কোরলাইন বড়সড় হয়নি।
পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বাংলাদেশের রান কখনোই চল্লিশের ঘর পার হয়নি। সেটাও মাত্র দুই ম্যাচে। প্রথম পর্বে পাপুয়া নিউগিনির সাথে (৪৫/১ উইকেটে), আর মূল পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই (৪১/১) ছাড়া স্কটল্যান্ড (২৫/২), ওমান (২৯/২), ইংল্যান্ড (২৭/৩), দক্ষিণ আফ্রিকা (২৮/৩), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২৯/২), অস্ট্রেলিয়া (৩৩/৪) আর কোন ম্যাচে পাওয়ার প্লে’তে ৩০-এর ঘরেও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
টপ অর্ডার ব্যাটিং শুরুর পর পরই বালির বাঁধের মত ভেঙ্গে গেছে । মূলতঃ এসব কারণেই টর্প অর্ডারে আনা হলো ব্যাপক পরিবর্তন। লিটন দাস আর সৌম্য সরকারকে বাদ দেয়া হলো। সঙ্গে মিডল অর্ডার থেকে ছেঁটে ফেলা হলো ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ মুশফিকুর রহিমকেও।
টপ অর্ডারে ঢালাও পরিবর্তন, তাতে কী লাভ হলো! বাংলা প্রবচণে যাকে বলে ‘যেই লাউ, সেই কদু।’ কোনই উন্নতি ঘটেনি। আজ শেরে বাংলায় পাওয়ার প্লে’তেও টপ অর্ডারের সেই একই অবস্থা। ৬ ওভারে ২৫ রানেই খোয়া গেছে ৩ উইকেট। লিটন ও সৌম্যর বদলে দলে আসা সাইফ হাসান (১), নাইম (১), শান্ত (৭) কিছুই করতে পারেননি। তিনজনই চরম ব্যর্থ। তাদের তিনজনের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৯ রান। প্রত্যেকের আউট হওয়ার ধরনও ছিল চোখে লাগার মত।
নাইম শেখ প্রথম সাজঘরে পা বাড়িয়েছেন। হাসান আলির অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলকে তাড়া করে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এক নম্বর ওপেনার নাইম। লিটন দাসের বিকল্প হিসেবে যাকে নেয়া হয়েছে সেই সাইফ হাসানও ১ রান করেই কট বিহাইন্ড হয়েছেন।
৮ বল খেলার পর মোহাম্মদ ওয়াসিমের অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের খানিক সুইং করা ডেলিভারিতে ধরা খেয়েছেন। বল তার ব্যাটের ঠিক বাইরের অংশ ছুঁয়ে চলে যায় কিপার রিজওয়ানের গ্লাভসে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও কিছুই করতে পারেননি। তিনিও আউট হন ওয়াসিমের বলে। তবে নাইম আর সাইফ হাসানের মত উইকেট কিপারের গ্লাভসে নয়, পুল করতে গিয়ে মিসটাইমিংয়ে আকাশে তুলে বিদায় নিয়েছেন বাঁ-হাতি শান্ত।
তাদের ব্যর্থতায় ১৫ রানে (৪.৪ ওভারে) তিন উইকেট খোয়া যায়। তবুও রক্ষা, তিন তরুণ মিডল ও লেট অর্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব (৩৪ বলে ৩৬), নুরুল হাসান সোহান (২২ বলে ২৮) আর শেখ মেহেদি (২০ বলে ৩০ নটআউট) শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। না হয় রান ১০০ হতো কিনা সন্দেহ।