অবিশ্বাস্য! ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তানের দেওয়া ২১৬ রান তাড়া করে জয়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাড় সমর্থকও হয়তো ভাবেননি এমন ম্যাচ জিততে পারে টাইগাররা। রীতিমতো অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন আফিফ হোসেন আর মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটে ১৭৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দলকে জয় উপহার দেন দুজন। এই জয়কে অবিশ্বাস্য বলছেন তামিম ইকবাল। ম্যাচ যে জেতা সম্ভব, বিশ্বাস ছিল না নাজমুল হাসান পাপনের।
ম্যাচ জয়ের পর অধিনায়ক তামিম বলছিলেন, ‘সত্যি বলতে আমি ভাবিনি জিতব, একদমই ভাবিনি। এখানে যদি আমি বলি আমি জয়ের বিশ্বাস রেখেছিলাম, মিথ্যা বলা হবে। ৪৫ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ২১৬ তাড়া করা অনেক কঠিন। তরুণ দুইজন যেভাবে খেলল, অবিশ্বাস্য! আমি অনেক খুশি এবং গর্বিত।’
যোগ করেন তামিম, ‘এটা চাট্টিখানি কথা নয়। আফগানিস্তানের দুর্দান্ত স্পিন অ্যাটাক আছে, তাদের যা দারুণভাবে সামলালো, এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করব এটাই শেষ না। তাদের জন্য এটা কেবল শুরু। আরও অনেক ম্যাচ জেতাবে তারা।’
আফিফ-মিরাজ যখন জুটি শুরু করেন, তখনো আফগান স্পিন ত্রয়ী রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমানের ৩০ ওভারের ২৫ ওভারই বাকি। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলে দেখতে আসা বিসিবি সভাপতি কাছে এই জয় অবিশ্বাস্য।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। সবাই আমরা বলছিলাম ৫০ ওভার খেলতে পারলে আমরা জিতবো। আমি বার বার বলতেছিলাম এই দুইজন যদি খেলে যেতে পারে তাহলে আমরা জিতার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এটাও অলমোস্ট অসম্ভব মনে হচ্ছিল। যেভাবে আমাদের প্রথম ৬ উইকেট গেল মনে হচ্ছিল যে এদের বল খেলা যাচ্ছে না।’
যোগ করেন নাজমুল, ‘কিন্তু এরা এসে যে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে গেল কোনো রিস্ক না নিয়ে জাস্ট উইথ ফুল কনফিডেন্স, ওদের কখনোই মনে হয়নি ওরা নার্ভাস। প্রথম দিকে ওদের নার্ভাস বলব না দ্বিধাগ্রস্ত মনে হচ্ছিল। যে সমস্ত শট খেলেছে একটু ঘাবড়ে গেছিলাম। তবে যত সময় যাচ্ছিল ততবেশি ওই বিশ্বাসটা জোর হচ্ছিল যে ওরা থাকলে জিতে যাব, ওরা থাকলে জিতে যাব। তবে একটা অসম্ভব কাজ। অসাধারণ একটা ম্যাচ খেলেছে দুইজন, আফিফ-মেহেদী।’