তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্ট্যাটাস যখন গ্লোবাল স্টেজে পরিণত হচ্ছে তখন পাশ্চাত্যের মধ্যে কিছু একটা সমস্যা তৈরি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার একজন নেতৃত্ব কীভাবে এত শক্তিশালী হয়ে উঠছেন, কীভাবে একটি দেশকে একটি ট্রান্সফরমেশনের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন। তখন বিভিন্ন ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম আমরা দেখছি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংসদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু টানেল ইত্যাদি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবিশ্বাস্য গোল সেট করেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন। এসব দৃশ্যমান উন্নয়ন ছাড়াও আমাদের অদৃশ্য যে উন্নয়ন হয়েছে তা হলো আমাদের সাহস। আমাদের সাহস অনেক বেড়ে গেছে। স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস বেড়ে গেছে। বিশ্বকে আমরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করতে পারি। আমাদের নদীর তলদেশে টানেল আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা আমাদের দেশের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে দিয়েছেন। দেশকে তিনি গ্লোবাল স্ট্যাটাসে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের স্ট্যাটাস যখন গ্লোবাল স্টেজে পরিণত হচ্ছে তখন পাশ্চাত্যের মধ্যে কিছু একটা সমস্যা তৈরি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার একজন নেতৃত্ব এত শক্তিশালী হয়ে উঠছে। কীভাবে একটি দেশকে একটি ট্রান্সফরমেশনের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন। তখন বিভিন্ন ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম আমরা দেখছি। এখন তারা নিয়ে আসে অন্যান্য বিষয়। যেহেতু দারিদ্র্য বিমোচন হয়ে যাচ্ছে, শিক্ষার হার বেড়ে যাচ্ছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা হচ্ছে। তারা নিয়ে আসছে ভোটের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এসব বিষয়। আমরা যদি এখানেও দেখি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলোর সবই নিশ্চিত করেছেন।
সুশীল সমাজের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের সিভিল সোসাইটি সরকারের অগ্রগতি সামনে আনে না। বৃহত্তর পরিসরে সরকারের অর্জন ঢেকে রেখে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরকারকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। তাদের এ তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের এক ধরনের লড়াই আছে, এটি চলবে, সেখানে আমরা জয়ী হব।