গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এখন বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিষয়। যদি তা অর্জন করা না যায়, তাহলে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলিতে এর প্রভাব পড়বে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভকারীদের কারা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে এর পরিণতি কতটা গুরুতর হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা খুব একটা সুখকর পরিস্থিতি হবে না।
ড. ইউনূস বলেন, আপনি যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করেন, তা মিয়ানমারসহ বাংলাদেশের চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে এবং পশ্চিমবঙ্গের সেভেন সিস্টার্সের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের চারপাশে এবং মিয়ানমারের সর্বত্র একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হবে… এবং এটি একটি বড় সমস্যা হবে। কারণ এখানে এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা রয়েছে।
পরিস্থিতি বর্ণনা করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ, যারা কখনও ভোট দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে তারা সুখী এবং আইন মান্যকারী নাগরিক। তারা জানে তাদের গণতন্ত্র আছে… এই তরুণরা তাদের জীবনে কখনও ভোট দেয়নি। তারা কখনই ভোটকেন্দ্রে যাননি কারণ সেই নির্বাচনগুলি কখনই অনুষ্ঠিত হয়নি… আমাদের সূচনা পয়েন্ট হলো আমাদের তরুণদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সোমবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রপতির পরামর্শে সেনাবাহিনী অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবে। তিনি বিক্ষোভকারীদের দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করার আবেদনও জানান।
পরে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকের পর নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।