মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সাপ্তাহিক পত্রিকা নিউজউইকের সর্বশেষ সংখ্যায় গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশ : এশিয়ার বিস্ময়কর ডিজিটাল নেতা’ শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধে জয় বলেছেন, সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’কর্মসূচিতে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৩ লক্ষাধিক আইটি পেশাজীবী বাংলাদেশে স্থায়ী হয়েছে। পাশাপাশি ১০ হাজার আইটি উদ্যোক্তাও তৈরি হয়েছে।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, এক দশক আগে বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার প্রতিজ্ঞা নেয়। ২০২১ সাল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। তখন খুব বেশি লোক এটা বিশ্বাস করতে পারেনি। প্রকল্পটির প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-২০০৯ সালে যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন মাত্র ২ কোটি বাংলাদেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। কিন্তু এখন ১২ কোটি বাংলাদেশি মোবাইল ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি কয়েক লাখ বাংলাদেশির মোবাইলে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এদের অনেকেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের বাসিন্দা। এর ফলে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটেছে।
একটি নতুন জুডিশিয়ারি পোর্টালের সহায়তায় আদালতগুলোও তাদের কার্যাবলী অব্যাহত রাখে। কৃষকরা অনলাইনে এগ্রিকালচারাল পোর্টারের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারে। নাগরিকরা এখন সহজলভ্য মোবাইল ব্যবহার করে কোভিড-১৯ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারছে। এখন অনলাইনে অনেক প্রোগ্রাম যুক্ত হয়েছে—যেগুলোর মাধ্যমে পাসপোর্ট থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত প্রায় সব সরকারি ফরম পূরণ করা যায়। মোবাইল ফোনগুলো হচ্ছে—এই বিস্ময়কর ঘটনার মূল চাবিকাঠি। বাংলাদেশে এখন জাতীয় জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯ চালু হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ টোল-মুক্ত।
এছাড়া সরকার আরো জবাবদিহি এবং সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইন অভিযোগের প্রতিকার ব্যবস্থা বাংলাদেশিদের সহজেই সরকারি পরিষেবা বা পণ্য সম্পর্কে অনলাইনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। ব্যাপক কানেকটিভিটি অর্থনীতিতেও সহায়তা করেছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। একটি দক্ষ, ডিজিটালি প্রস্তুত শ্রমশক্তি বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে এবং যা এখন বছরে ৫ লাখ স্নাতক কর্মী তৈরি করছে। আজ তরুণ বাংলাদেশিরা ক্রমবর্ধমান হারে শহুরে, ভ্রাম্যমাণ এবং নতুন অর্থনীতিতে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত। ডিজিটালাইজেশন থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সুফল পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৩ লক্ষাধিক প্রযুক্তিবিদ বাংলাদেশকে তাদের আবাসস্থল করে তুলেছে। প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা রয়েছে। সব মিলিয়ে তারা এখন তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা থেকে বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে।