বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা প্রাপ্ত হলে এর জন্য দায়ী ব্যক্তি ও তার পরিবারকে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
২৪ মে, বুধবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার লক্ষ্যে আজ আমি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি আইনের ২১২(এ)(৩)(সি)(৩সি) অনুচ্ছেদের আওতায় একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি।
নতুন নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে জড়িত বলে অনুমিত যে কোনো ব্যক্তির ভিসা সীমিত করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছেন- কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, সরকারপন্থী ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ সিদ্ধান্তের কথা ৩ মে তারিখে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা’ বলতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কি বুঝাচ্ছে তার উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে, তার মধ্যে রয়েছে – ভোট জালিয়াতি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, নাগরিকদের সংগঠিত হওয়ার ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চা থেকে বিরত রাখতে সহিংসতা প্রয়োগ এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যমের মত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশকে রোধ করে এমন পদক্ষেপসমূহ।
ব্লিঙ্কেন তার বিবৃতিতে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ভোটার, রাজনৈতিক দলসমুহ, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনীসমুহ, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম—সবার দায়িত্ব। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে যারা এগিয়ে নিতে চাচ্ছেন, তাদের সবার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন জোগাতে আমি এ (ভিসা) নীতি ঘোষণা করছি।
বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভিসা নীতির ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশের পাশাপাশি অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের টুইটার অ্যাকাউন্ট, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বিবৃতিটির লিঙ্ক শেয়ার করা হয়েছে।