বাংলাদেশ লেজেন্ডেসের সংগ্রহটা যত বড় হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়নি। অন্তত শুরুতে নাজিমউদ্দিন যেভাবে ব্যাট করছিলেন, মনে হচ্ছিল সম্ভব বড়কিছু। শেষ পর্যন্ত আর সেটা হয়নি। তবুও বাংলাদেশে লেজেন্ডস ভারত লেজেন্ডসকে লক্ষ্য দিয়েছিল ১১০ রানের। এই লক্ষ্য সহজেই তাড়া করে গেছেন স্বাগতিকদের দুই ওপেনার বীরেন্দ্রর শেওয়াগ ও শচীন টেন্ডুলকার।
কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় তুলে নিয়েছে ভারত লেজেন্ডস। নিজেদের ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন শচীন ও শেওয়াগ। বাংলাদেশ লেজেন্ডসের বোলাররা পাত্তাই পাননি। ম্যাচ জিতিয়ে ফেরার সময় শচীন ২৬ বলে ৩৩ রান ও শেওয়াগ ৩৫ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় ভারত লেজেন্ডস।
এর আগে ভারতের রায়পুরে রোড সেফটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ লেজেন্ডসের অধিনায়ক মোহাম্মদ রফিক। আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন জাভেদ ওমর বেলিম ও নাজিমউদ্দিন।
বেলিম কিছুটা ধীরগতির শুরু করলেও অন্যপ্রান্তে আক্রমণাত্মক ছিলেন নাজিম। দলীয় ৫৯ রানে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ লেজেন্ডস। ১ চারে ১৯ বলে ১২ রান করে প্রজ্ঞান ওঝার বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন জাভেদ ওমর। ফিফটির খুব কাছে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ লেজেন্ডেসের নাজিম। কিন্তু এক রানের জন্য ফিফটি স্পর্শ করতে পারেননি তিনি। ৩৩ বলে ৪৯ রান করে আউট হন তিনি। যুবরাজ সিংয়ের বলে বোল্ড হয়েছেন নাজিম।
তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। একমাত্র রাজিন সালেহ ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্কের সংগ্রহ। ১৯ বলে ১২ রান করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দুই বল বাকি থাকতে অলআউট হয়েছে মোহাম্মদ রফিকের দল। ভারতের পক্ষে দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন বিনয় কুমার, প্রজ্ঞান ওঝা ও যুবরাজ সিং।