রোববার দিনগত রাতে সিএ প্রেস উইং ফ্যাকটস-এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন দাবি করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্টার বহন করার এবং গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়ার কারণে তারা সেগুলো বহন করছিল। আটকরা পুলিশকে বলেছে যে, তারা মার্কিন রাজনীতি অনুসরণ করে না, শুধু হাসিনার নির্দেশে ট্রাম্পের পোস্টার বহন করেছিল।
প্রেস উইং আরও জানায়, আগস্টে অভূতপূর্ব বিপ্লবের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে কিছু ভারতীয় সংবাদপত্র ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে আক্রমণাত্মকভাবে ভুল তথ্য প্রচার করছে। তারা বিপ্লবোত্তর দিনগুলোতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনাগুলোকে ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত করেছে। আজকে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের গ্রেপ্তারের ঘটনায়ও তারা একই ভাবে অতিরঞ্জিত করেছে।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে ১০ নভেম্বর রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। শনিবার সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একাধিক পোস্টে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে। ওইদিনই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, দেশে এখন আওয়ামী লীগের সমাবেশ বা মিছিল করার কোনো সুযোগ নেই।
এরপর শনিবার রাতেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ভাইরাল হওয়া কথিত অডিও ক্লিপের নির্দেশনা বাস্তবায়নকারীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আলামত উদ্ধার করা হয়। রোববার পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় ডিএমপি।