বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা ভূয়সী করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কর্পোরেট সেক্রেটারি মার্সি টেমবন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের উন্নতিকে অন্য দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় বলেও ব্যাপক প্রশংসা করেছেন তারা।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস মঙ্গলবার এক টুইটে শেখ হাসিনার সাথে প্রদর্শনীর উদ্বোধনের ছবি টুইট করে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও বাংলাদেশের সাথে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অংশীদারিত্বের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত। দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী পদ্ধতি থেকে অনেক দেশ শিক্ষা নিতে পারে।
আরেকটি টুইটে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দুপুরের খাবার উপভোগ করার বিষয়টি উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট লেখেন, ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সাথে মধ্যাহ্নভোজ ও চমৎকার বৈঠক। গত বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি, আঞ্চলিক সংযোগ এবং দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য বিশ্বব্যাংক ২.২৫ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে বলেও উল্লেখ করেছেন ডেভিড ম্যালপাস।
বিশ্বব্যাংকের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকেও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের টুইট দুটি শেয়ার করা হয়েছে।
গত ১ মে বিশ্বব্যাংক এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বব্যাংকের চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশের একটি। ২০১৫ সালে দেশটি নিম্ম-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কর্পোরেট সেক্রেটারি মার্সি টেমবন মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও বাংলাদেশের চমৎকার অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের অন্যতম সেরা উন্নয়ন সাফল্যের গল্প তৈরি করেছে, যা ব্যাপকভাবে অনুকরণ করা যেতে পারে।