নারী জাতীয় দলের বিশ্বকাপ নিশ্চিতের পর বিসিবির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি আমাদের নারী দলকে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ২০২৫-এ খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। পর্দার আড়ালে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি কোচিং স্টাফ এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে।’
বাছাইপর্বের মতো বিশ্বকাপের মূলপর্বেও মেয়েদের প্রতিভা ও সম্ভাবনায় আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি, ‘ভারত বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে আমি আমাদের খেলোয়াড়দের প্রস্তুতিতে মনোযোগী এবং শক্ত থাকতে অনুরোধ করছি। বিসিবি সম্পূর্ণভাবে আপনাদের পাশে আছে। আপনারা যাতে সম্ভাব্য সেরা অবস্থায় টুর্নামেন্টে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করব। আমরা আপনাদের প্রতিভা ও সম্ভাবনার ওপর বিশ্বাস রাখি এবং আশা করি আপনারা বিশ্ব মঞ্চে জাতিকে গর্বিত করবেন।’
গতকাল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচ জিতলে জ্যোতিদের আর কোনো সমীকরণের মুখে পড়তে হতো না। কিন্তু ৭ উইকেটের বড় হারের পর তাদের তাকিয়ে থাকতে হয় উইন্ডিজ-থাইল্যান্ড ম্যাচের দিকে। যেখানে ক্যারিবীয়দের কেবল জিতলেই চলবে না, পাশাপাশি মেলাতে হবে নেট রানরেটের হিসাব। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে জিতে নেট রানরেটটা অনেক বাড়িয়ে নিয়েছিল। সেটাই শেষ পর্যন্ত তাদের বিশ্বকাপ নিশ্চিতে ভূমিকা রেখেছে।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে থাইল্যান্ড নারী দলের ইনিংস শেষে আইসিসি ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়েছিল, ১৬৭ রানের টার্গেট ১০.১ ওভারে স্পর্শ করলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে যাবে। তবে সেটা ১১ ওভারেও নেওয়া সম্ভব। সেজন্য শুরুতে ১৬৬ রান করতে হতো তাদের। এরপর ছক্কা হাঁকিয়ে ১৭২ রান করতে পারলে ১১ ওভারে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশকে ছাপিয়ে তারা যাবে বিশ্বকাপে।
কিন্তু স্টিফেন টেইলর সম্ভবত ভুল বুঝেছিলেন। আর সেটাই আশীর্বাদ হয়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য। ম্যাচের ১০.৫ তথা ১১তম ওভারের ৫ম বলে ১ চারে ১৬৬ এবং পরের বলে ১ ছক্কায় ১৭২ রানই নিতে পারত তাদের বিশ্বকাপে। ৫ম বলে স্টিফেন টেইলরের হাঁকানো বল সরাসরি মিড অফের ওপর দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারি লাইনের ওপারে। ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করলেও বিশ্বকাপটা উইন্ডিজ নারীরা মিস করে যায় ০.০১ রানরেটের জন্য। বাংলাদেশের নেট রানরেট +০.৬৩৯, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ গিয়েছে +০.৬২৬ পর্যন্ত।