বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাশাপাশি কূটনীতিতেও পিছিয়ে নেই নারীরা। বিশ্বের ৯টি দেশে বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা। ধীরে ধীরে নিজ কর্ম ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ভূমিকাও পালন করছেন নারীরা। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে প্রতিনিধিত্ব করছেন এখন ৯ জন নারী কূটনীতিক। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রাবাব ফাতিমা। যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাঈদা মুনা তাসনীম।
মেক্সিকোতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, মরিশাসে হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ, ব্রুনাইয়ে হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা, ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ, পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা রহমান, জর্ডানে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান ও ব্রাজিলে সাদিয়া ফয়জুননেসা। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাশফি বিনতে শামস।
১৯৭৯ সাল থেকে বাংলাদেশের নারীরা পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে কাজ শুরু করেন । সে সময় ফরেন সার্ভিসে প্রথম নারী কূটনীতিক হিসেবে যোগ দেন নাসিম ফেরদৌস। তবে বাংলাদেশে প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহমুদা হক চৌধুরী। কূটনীতিতে ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছেন নারীরা। নারী কূটনীতিকদের মধ্যে প্রথম সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ইসমত জাহান। নারী কূটনীতিকদের মধ্যে প্রথম এনডিসি কোর্স করেছেন মাজেদা রফিকুন্নেছা। আর নারীদের মধ্যে প্রথম কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহনাজ গাজী।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মন্তব্য জানতে চাইলে ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা বাংলানিউজকে বলেন,‘আমার কাছে প্রতিদিনই নারী দিবস। আমি কর্মক্ষেত্রে আমাকে নারী হিসেবে দেখি না, একজন মানুষ হিসেবে। ’কূটনীতিতে নারীদের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিদের্শনা দিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নারীদের প্রাধান্য দিচ্ছি। আমাদের নারীর বিভিন্ন মিশনে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ’আগামীতেও নারীরা কূটনীতিতে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন তিনি।