মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্টের জন্য বাংলাদেশকে দেড় হাজার মিলিয়ন (প্রায় ১.৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার ঋণ দেবে জাপান সরকার। এ বিষয়ে একটি বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
শনিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সভা কক্ষে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিজ শরিফা খান বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেন। আর জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বিনিময় নোট এবং বাংলাদেশস্থ জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশিগুচি তোমোহিদে ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্টের ৭ম পর্যায়ে ঋণের জন্য শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ঋণচুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে জাপান সরকার ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ১,৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেবে। জাপান সরকারের ৪৪তম অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) লোন প্যাকেজের ২য় ব্যাচের আওতাধীন এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাক্ষরিত ঋণের বাৎসরিক সুদের হার নির্মাণকাজের জন্য ১.৬০ শতাংশ, পরামর্শক সেবার জন্য ০.১০ শতাংশ, ফ্রন্ট অ্যান্ড ফি (এককালীন) ০.২ শতাংশ। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অব্যাহত বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের মহেশখালি উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকায় ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা (জিওবি ৬,৪০৬.১৬ কোটি, জাইকা ৪৩,৯২১.০৩ কোটি, সিপিজিসিবিএল সংস্থা নিজস্ব ১,৫২৭.৬৯ কোটি) ধরা হয়েছে।
এ প্রকল্পে জাইকা কর্তৃক পর্যায়ক্রমে ঋণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে ৬টি পর্যায়ে মোট ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫৪ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ৪৪তম ওডিএ লোন প্যাকেজের (২য় ব্যাচ) আওতায় ৭ম পর্যায়ে ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন ঋণ দেবে জাপান।