বাঁশখালীর সাধনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দ্বন্দ্বের জেরে স্কুল তালাবদ্ধ রাখায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে এসে স্কুলে প্রবেশ করতে না পেরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীলিপ কুমার ধরের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তত্কালীন স্কুল পরিচালনা কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। বরখাস্তের পর গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের অর্ধেক বেতন প্রদান করা হয় তাকে। এরই মধ্যে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় স্থানীয় শেখর দত্তকে সভাপতি করে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবকের হাইকোর্টে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঐ কমিটির কার্যক্রমও স্থগিতের আদেশ দেয় আদালত।
এসময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিনিয়র শিক্ষক বাবলা কুমার দে। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট জারিকৃত আদেশ এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশনের রায়ে কোনো শিক্ষককে ৬০ দিনের বেশি সাময়িক বরখাস্ত না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জুন বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক দীলিপ কুমারকে যাবতীয় পাওনা পরিশোধসহ তাকে স্বপদে বহাল রাখার নির্দেশনা প্রদান করে। দীলিপ কুমার যোগদান করতে আসলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবলা কুমার তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করেন এবং বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলা কুমার এবং দীলিপ কুমারকে কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু বাবলা কুমার হাজির না হওয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি। দীলিপ কুমার ধর বলেন, আমাকে যাবতীয় পাওনা পরিশোধসহ স্বপদে বহাল রাখার নির্দেশনা দিলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত আমাকে স্কুলে যোগদান করতে দিচ্ছে না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবলা কুমার দাশ।’