ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত দুদলের ৪৫ বারের দেখায় জয়ের পাল্লা ভারি নিউজিল্যান্ডের। কিউইদের ৩৩ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ১১টিতে। অন্যটি পরিত্যক্ত হয়েছে। এদিকে বিশ্বকাপে পাঁচবারের দেখায় সবগুলোতে হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নয় আসরে এ পর্যন্ত দুদলের দেখা হয়েছে দুবার।
প্রথমবার ২০০২ আসরে ১৬৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৭ আসরে অবশ্য কেন উইলিয়ামসনের দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজা দল। কিউইদের ২৬৫ রানের জবাবে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে জয় নিয়ে সেমিতে ওঠে বাংলাদেশ।
ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি বলেই নিউজিল্যান্ডকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। গত বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সুখকর সেই স্মৃতিতে উদ্দীপ্ত নাজমুল হোসেন শান্তরা। গত বছর রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সংস্করণ ভিন্ন হলেও কিউইদের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে সেই স্মৃতি তাদের দারুণ উজ্জীবিত করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
টাইগার কোচ বলেন, ‘আমি আশা করি দেবে। কারণ পাকিস্তানে এসে তাদেরকে হারানো সহজ কাজ নয়। সেই জয় দলকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তাই এটি আমাদের মানসিকতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ বড় হারে টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। তাই টাইগাররা কিছুটা হলেও চাপে থাকবে। তবে চাপ নিয়েই ভালো খেলার কথা জানিয়েছেন কোচ, ‘ঠিক আছে, এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচই চাপের ম্যাচ। এটি বিশ্বের সেরা আট দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা, তাই প্রত্যেকটি ম্যাচ কঠিন হবে, সেটাই স্বাভাবিক। হ্যাঁ, ওরা ভালো খেলছে, তবে আগামীকাল নতুন দিন। আমরা চেষ্টা করব যাতে তারা আগের মতো ভালো খেলতে না পারে।’
নিউজিল্যান্ড জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে। স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়েছে তারা। আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের বিপক্ষেও বজায় রাখতে চান কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। তবে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ নিয়ে সতর্ক তিনি, ‘আমরা যে অবস্থানে আছি, সেটা দারুণ। ত্রিদেশীয় সিরিজে অবশ্যই দারুণ করেছি এবং এখন বাংলাদেশের ছেলেরা অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবে। আমি মনে করি তারা এই মুহূর্তে খুব ভালো দল। তাদের স্পিন বিভাগ সবসময় পরিপূর্ণ। কিন্তু এখন তাদের বোলিং আক্রমণে খুব ভালো, পেসাররাও এসেছে।’
সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশের জয়ের বিকল্প নেই। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলবে। এই ম্যাচে ব্যাটিং হয়ে উঠবে ম্যাচ জয়ের চাবিকাঠি। যে দল ব্যাটিংয়ে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে, তাদের দিকেই পাল্লা ভারি থাকবে। আগের ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশ আজকের ম্যাচে ব্যাটিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের এই আত্মবিশ্বাস বাস্তবে রূপ দিতে পারলেই সাফল্য সম্ভব।