জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়ক, গণমাধ্যমকর্মী ও ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে বর্ষসেরা গোলরক্ষকের তালিকা তৈরি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের সেরা গোলরক্ষকের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। যে দ্বৈরথে জায়গা করে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এই লড়াইয়ে আরও রয়েছেন থিবো কোর্তোয়া ও ইয়াসিন বুনো।
এর আগে, ২০২১ সালের ৮ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফুটবল মাঠে পারফরম্যান্সের বিচারে পাঁচ জনকে বর্ষসেরা গোলরক্ষকের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। এরপর সেই তালিকা থেকে দুইজনকে বাদ দিয়ে চূড়ান্তভাবে তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে ফিফা।
ধারণা করা হচ্ছে, ব্রাজিল ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ায় পাঁচ জনের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন আলিসন ও এদেরসন। তবে গত বছর লিভারপুলের জার্সিতে কারাবো কাপ ও এফএ কাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন আলিসন। অন্যদিকে গত বছর প্রিমিয়ার লিগে বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জেতা এদেরসনও বাদ পড়েছেন ফিফার সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে।
এদিকে ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জয়ের দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে আছেন আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কাতারে আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বজয়ের পেছনে অগ্রণী ভূমিকা ছিল এই ৩০ বছর বয়সী গোলরক্ষকের। এরপরের অবস্থানেই রয়েছেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনো। আফ্রিকার দেশ হিসেবে যারা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল।
আটলান্টিক মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরের কোলঘেঁষা দলটির ধারাবাহিকতার অন্যতম কারিগর ছিলেন বুনো। শেষ ষোলোর ম্যাচে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারানোর দিন স্প্যানিশদের তিনটি শটই রুখে দিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়াও পর্তুগিজদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে গোলবারের নীচে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই ৩১ বছর বয়সী সেভিয়া গোলরক্ষক।
ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষক হওয়ার দৌড়ে মার্টিনেজ ও বুনোর থেকে তুলনামূলক পিছিয়ে আছেন কোর্তোয়া। তবে ক্লাব ফুটবলে আলো ছড়ানো এই রিয়াল গোলরক্ষক গত মৌসুমে দলটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন।