সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনের আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
আসিফ নজরুল বলেন, ৫ আগস্টের পরে দুদক একেবারেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ফলে এখনো ভয়াবহ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর আমরা পাচ্ছি। এটি আমাদের বন্ধ করতে হবে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কমিশন দিয়ে হবে না। আমাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিশন গঠন হবে।
তিনি বলেন, দুদক সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান সাহেব অন্তর্বর্তীকালীন একটা অবস্থার কথা বলছেন কিন্তু এটা করতে গেলে আবার আইন পরিবর্তন করতে হবে। সমস্যা হলো এখন যদি পরিবর্তন করা হয়, তারপর যদি সংস্কার কমিশন চূড়ান্তভাবে আবার আইন পরিবর্তন করতে বলে, তাহলে বিষয়টি কেমন দেখায়। এখন কোনটি আসলে সর্বোত্তম হবে, এটি নিয়ে আমরা বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে আসিফ নজরুল বলেন, বিচার বিভাগ-দুদক চোর প্রধানমন্ত্রীর দাসে পরিণত হয়েছিল। সেই সময়ে এমপি-মন্ত্রীরা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দুদকে বর্তমানে যারা কাজ করছেন, আপনারা সেই সব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুন, প্রমাণ করুন তাদের মাধ্যমে আপনাদের হৃদয় পরিবর্তন হয়নি। এখন তো কাজের সুযোগ এসেছে।
শেখ হাসিনার আমলে প্রতিটি দপ্তরই অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভূমি অফিসে নাম জারি করতে গিয়েছি, সেখানে ১০ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছে আমার কাছে। ভূমি অফিসে যে লোকজন ছিল, তাদেরকে কি শেখ হাসিনা বলে গিয়েছিল তোমরা ঘুষ নিবা। সবকিছুর দায় চোরের নেত্রীকে দিলেই হবে না, নিজেদের কথা চিন্তা করুন। আপনি নিজে কতটা সততার জায়গায় আছেন।