ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেও ইতালির বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ গোলে হেরে গেছে। ৫৫ বছর পর ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড ট্রফি জিততে পারল না। পেনাল্টি শুটআউটে তিন ফুটবলার গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর এ কারণে এই তিন ফুটবলারকে বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে নেট দুনিয়ায়।
রাশফোর্ড, সাঞ্চো, সাকা পেনাল্টি শুটআউটে গোল করতে পারেননি বলে ইংল্যান্ডের কিছু সমর্থক নেট দুনিয়ায় ছড়িয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ তিন ফুটবলারের কারণেই ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। আর এই বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য সারা দুনিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ফুটবল দুনিয়ায় ঝড় বইছে। ইংল্যান্ডের এই তিন ফুটবলারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন অন্য ফুটবলাররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটবলাররা প্রতিবাদ করছেন।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যারা বর্ণবিদ্বেষমূলক কথা বলছেন, ‘কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এভাবে খেলোয়াড়দেরকে মন্দকথা বলে কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি ইংল্যান্ডের সমর্থক না। আমরা আপনাদের সঙ্গে নেই। এমন সমর্থক আমরা চাই না। আপনাকে মনে রাখতে হবে এই তিন তরুণ যথেষ্ট মেধাবী ফুটবলার, তারা কেমন খেলেছে সেটা সবাই দেখেছেন। এ ধরনের জঘন্য গালমন্দ করা উচিত না। আমাদের উচিত এই তরুণ ফুটবলারদের পাশে থাকা।’ পেনাল্টি শুটআউটে প্রথম দুই ফুটবলার গোল করলেও রাশফোর্ড প্রথম মিস করেন। তার বল পোস্টের গোঁড়ায় লাগে। এরপরই সাঞ্চোর শট ইতালির গোলকিপার ফিরিয়ে দেন। শেষ শটে সাকা গোল করতে পারেননি। টানা তিন শটই মিস হয়। জিতে যায় ইতালি।
ফরাসি ফুটবলার পল পগবা রাশফোর্ড, সাঞ্চো, সাকার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছেন। ইউরোর শেষ ষোলোয় হেরে বিদায় নেওয়া ফ্রান্স দলের পল পগবা বলেছেন, আমরা তোমাদের জন্য গর্বিত। তোমরা সাহস দেখিয়েছে। দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছ। মহামূল্যবান ফাইনালে তোলার পেছনে তোমাদের অবদান আছে। তোমাদের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণ করা হয়েছে আমরা এটা সহ্য করব না। আমি এই তিন ফুটবলারকে বলছি, তোমরা মাথা নিচু করবে না। সাহস এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে তোমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। তোমরা সুন্দর ফুটবলের উদাহরণ তৈরি করেছ। তোমরা ভুলে যেও না বিশ্ব ফুটবল তোমাদের নিয়ে গর্ব করে।’