মানুষের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং টেকসই গ্রিন বিজনেসের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বে টেকসই গ্রিন বিজনেসে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ উন্নীত হয়েছি বাংলাদেশে। তবে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, ২০২৬ সালের মাঝে এই মাত্রা ৪০ শতাংশের ওপরে উন্নীত করবে। সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) মিলনায়তনে এক সেমিনারের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সূর্য থেকে পাওয়ার সোলারের মাধ্যমে এনার্জি তৈরির চেষ্টা করছি। কিন্তু এই প্রজেক্টের পরিসর খুবই কম। কয়লার ব্যবহারে বায়ুমণ্ডলে যেই কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে তা কমানের জন্য কাজ করছে সরকার।
সরকার দেশের বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি তৈরির পথে হাঁটছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষের আয় বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে ভোগের পরিমাণও। ফলে শহরতলি থেকে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য জড়ো হচ্ছে। তাই দেশকে বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা করতে, দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি তৈরি করছে সরকার।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর বক্তব্য রাখেন শেরপা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম.এ তাহের শেরপা।
আরও বক্তব্য দেন, তৃণা সোলার কোম্পানি লিমিটেডের এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনের বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেলস ম্যানেজার সৈয়দ মো. আমিরুল হাসান এবং এভোনিক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সুজিত রঞ্জন সরকার।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা।
আরও ছিলেন আইবি ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. আব্দুল মোমেন। ইডকল বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সিইও আলমগীর মোর্শেদ এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তত ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ।