এক নারীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সৌদি আরবে পাচার এবং বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই নারীর মা। বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (২২ মে) বরিশালের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করা হয়। আজ সোমবার ট্রাইবুনালের বিচারক মো. মনজুরুল পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন বরিশাল নগরের পলাশপুর গুচ্ছ গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী লাকি বেগম, তার ছেলে আজমান, ঢাকা নয়া পল্টনের আজিজ অ্যান্ড রিক্রুটিং এজেন্সির ডিরেক্টর কাজী আতাহার হোসেন, অফিস এক্সিকিউটিভ আনোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন।
বরিশাল সদরের ৮ নং গুচ্ছ গ্রামের (উত্তর) অধিবাসী মমতাজ বেগম মামলায় উল্লেখ করেন, তার মেয়ে কহিনুর বেগমকে (৩৩) চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল আজিজ অ্যান্ড রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব পাচার করে দেয়।
অফিসে কাজ না দিয়ে স্থানীয় এক দালালের নিকট বাদীর কন্যাকে বিক্রি করে দেয়। ওই দালাল বাদীর কন্যাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। বর্তমানে বাদীর কন্যাকে সৌদি আরবের জেদ্দায় আল সাদা নামক শহরের ১টি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে।
ওই কক্ষে তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন।
১৪ এপ্রিল ফোনে বাদীকে বিস্তারিত ঘটনা জানায় তার মেয়ে। এরপর বাদী আসামিদের সাথে যোগাযোগ করলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চায়। টাকা দিলে বাদীর মেয়েকে ফেরত দেওয়া হবে বলে আসামিরা জানায়।