ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ইতালি। এখনও পর্যন্ত বন্যায় ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্রমবর্ধমান বন্যা আরও অনেক ঘরবাড়ি গ্রাস করেছে। নতুন ভূমিধসে বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ। নিহত হয়েছেন ১৪ জনের বেশি।
আল জাজিরা ও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইতালিতে ভয়াবহ বন্যার কারণে ৩০৫টিরও বেশি ভূমিধস হয়েছে। এমিলিয়া-রোমাগনা অঞ্চলে ৫০০টিরও বেশি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত বা বন্ধ হয়েছে।
বন্যায় এমিলিয়া-রোমাগনা অঞ্চলের শহর ও শহরের রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ক্রমবর্ধমান জলরাশি আরও ঘরবাড়ি গ্রাস করছে।
বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারের কাজে সংশ্লিষ্ট একটি হেলিকপ্টার শনিবার লুগোর কাছে বিধ্বস্ত হয়। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, হেলিকপ্টারে থাকা চারজনের মধ্যে একজন আহত হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গাড়িগুলো বন্যার জলে ডুবে গেছে। বাড়িগুলো প্লাবিত হয়েছে। কিছু বাসিন্দা জলে ডোবা রাস্তায় সাইকেল চালাচ্ছেন।
বোলোগ্নার মেয়র মাত্তেও লেপোর শনিবার বলেছেন, রাস্তা ও অবকাঠামো মেরামত করতে মাসের মতো সময় লাগবে। এছাড়া কিছু জায়গায় হয়তো বছর লাগবে।
এমিলিয়া-রোমাগনা অঞ্চলের ফায়েনজা শহর থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হোদা আবদেল-হামিদ বলেছেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ‘সর্বত্র’ দৃশ্যমান।
তিনি বলেন, শহর কাদা দিয়ে আচ্ছাদিত। মানুষ বুঝতে শুরু করেছে যে কী হয়েছে- বর্তমান এবং অতীত।
স্থানীয়দের অভিযোগ,পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও আগাম কোন প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি বর্তমান সরকার। এতে মৃত্যের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন তারা।