মঙ্গলবার (১৭ জুন) থেকে রাজধানীর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। একপর্যায়ে দুপুর পৌনে একটার দিকে ভেতরে প্রবেশ করে তারা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২০ সালে মাউশি এসব পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। পরে ধাপে ধাপে লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরিপ্রত্যাশীদের ভাষ্য, চার বছর পেরিয়ে পঞ্চম বছরে গড়ালেও কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে লিখিত পরীক্ষা দিই, ২০২৪ সালের এপ্রিলে রেজাল্ট আসে। মে-জুনে ভাইভা হয়েছে। এখন জুন ২০২৫—আমরা জানি না কবে চূড়ান্ত রেজাল্ট হবে।
সাদ্দাম হোসেন নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, আমার বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই একটা চাকরির আশায় অন্য চাকরির পরীক্ষাও দিইনি। এখন দেখছি ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
সুমাইয়া আফরিন নামের একজন প্রদর্শক পদে আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেন, আমার বাবা নেই। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে। এই চাকরিটা আমার জন্য জীবন-মরণের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাইভা দিয়েছি এক বছর আগে, এখনো কোনো খবর নেই। কর্তৃপক্ষ কি বোঝে না, আমাদের কতটা মানসিক চাপ যাচ্ছে এই অনিশ্চয়তায়?
মাহফুজুর রহমান নামের আরেকজন বলেন, ভাইবা বোর্ডে স্যাররাও বলেছিলেন, আপনি ভালো করেছেন। আশার কথা শুনে বাড়ি ফিরেছি, কিন্তু আজও শুধু অপেক্ষা। এখন চাকরির বয়সসীমা পার হয়ে যাচ্ছে। আমরা কি ভুল করেছি সরকারি চাকরি আশা করে?
এদিকে অনশনরতরা লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছেন, প্রয়োজনে তারা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন। ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও ‘জুলাই বিপ্লব’ এর চেতনা ধারণ করে আমরা লড়ছি’—বলেন অনশনকারীরা।
চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলেও জানিয়েছেন তারা।