জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অপমান এবং উপহাস করার অধিকার কারো নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে এবি পার্টি আয়োজিত কণ্ঠরোধ হত্যা এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংহতি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমার দেশের মানুষ ভালোবাসে, তাকে আমরা সবাই শ্রদ্ধা করি। দুই-চার জন যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালো নাও বাসে, তাকে অপমান করার অধিকার কারো নেই, তাকে উপহাস করার অধিকার কারো নেই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গান্ধী শান্তি পুরস্কারের মূল কথা হলো, একজন জীবিত ব্যক্তির বিগত ১০ বছরের কার্যকলাপের ওপর ভিত্তি করে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বিয়োগান্ত মৃত্যুর ৪৬ বছর পর তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এমন প্রহসনের মানে কী? বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গান্ধী পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ওমানের বাদশাকেও। বঙ্গবন্ধুকে কোথায় নামিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তখন আপনারা পালিয়ে গিয়েছিলেন, ইঁদুরের গর্তে ঢুকে ছিলেন। একমাত্র কাদের সিদ্দিকী ছিল ব্যতিক্রম। আর মালেক উকিল বলেছিলেন, জালিমের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আর আমি হিথ্রো বিমানবন্দরে, সাংবাদিকরা যখন আমাকে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার ঘটনা জানালো, চোখ থেকে পানি পড়েছিল, বঙ্গবন্ধুর জন্য আমি আমার অজান্তেই কেঁদেছিলাম। আজ গান্ধী পুরস্কার দিয়ে তাকে আর একবার হত্যা করা হলো। গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে উপহাস করার অধিকার নরেন্দ্র মোদীর নেই। ওমানের বাদশার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু তুলনা অত্যন্ত লজ্জা এবং ন্যক্কারজনক। মনে রাখা দরকার, এই গান্ধী শান্তি পুরস্কার আজ থেকে ২১ বছর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনুস পেয়েছেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সভা থেকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবাই মিলিতভাবে শোকদিবস এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিলের জন্য একটি শোকযাত্রা ঢাকা শহর প্রদক্ষিণ করার ঘোষণা দেন। প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ ইবরাহিম বীরপ্রতীক প্রমুখ।