‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ প্রবর্তনের ঘোষণা দিলো বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। আগামী অক্টোবরে জাতীয় আবৃত্তি উৎসবের প্রথম দিনে দেশবরেণ্য আবৃত্তি ও অভিনয়শিল্পী গোলাম মুস্তাফাকে প্রথমবার এ পদক প্রদান করা হবে। পদক প্রবর্তনের অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে পরিষদ। শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আহ্কাম উল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য বেলায়েত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, রেজীনা ওয়ালী লীনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ প্রমুখ। এসময় আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আবৃত্তিচর্চাকে আদর্শিক বাহন হিসেবে নতুন প্রজন্মের কাছে নিয়ে যেতে হবে। যারা কবিতা চর্চা করে, শিল্প চর্চা করে তারা সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। অসাম্প্রদায়িক জাতি রাষ্ট্র গঠনের তাগিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধিনতার ডাক দিয়েছিলেন। আমরা সেই আদর্শকে ধারণ করে আগামী প্রজন্মের বাংলাদেশ নির্মাণ করতে কাজ করে যাবো।
তার কথায়, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রতি বছর ৩১ মার্চ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ প্রদান করবে। কিন্তু এ বছর করোনা পরিস্থিতির হঠাৎ অবনতি হওয়ায় আয়োজনটি অক্টোবরে করা হবে। সে সময় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের জাতীয় আবৃত্তি উৎসবের প্রথম দিন পদকটি প্রদান করা হবে। লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আহ্কাম উল্লাহ্ বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাংলার শ্রেষ্ঠ কবিতা আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই কবিতার মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠ কবি ও আবৃত্তিশিল্পী। স্বাধীনতার মহানায়কের নামে জাতীয় আবৃত্তি পদকটি প্রবর্তন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষার বরেণ্য শিল্পীদের আবৃত্তিশিল্পে সার্বিক অবদানের জন্য প্রতি বছর এ পদক প্রদান করা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ প্রবর্তনের অনুমতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নেতারা। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রদক প্রদান করে আসছে। এর মধ্যে ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক’ দেওয়া হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। তরুণ আবৃত্তিশিল্পীদের জন্য বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রদান করে ‘বৃষ্টি-দোলা পদক’। সম্প্রতি সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চাকে উৎসাহিত করতে বছরের সেরা আবৃত্তি প্রযোজনার জন্য ‘কামরুল হাসান মঞ্জু পদক’ প্রবর্তন করেছে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ।