দেশের আকাশ থেকে মেঘ সরে গেছে। তবে চলতি মাসে থার্মোমিটারের পারদ নামতে নামতে ৪ ডিগ্রির ঘরে ঠেকতে পারে! দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের এলাকাও বিস্তৃত হতে পারে। আগামী কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে শীত বাড়তে পারে। বর্তমানে পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজারের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। এখন হালকা অবস্থায় থাকলেও এটি আরও বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
আজ রোববার কুয়াশা আরও বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যশোর–চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে যেতে পারে। আগামী কয়েক দিন উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ছড়াতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি হালকা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাঝারি ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও দু’টি মাঝারি থেকে তীব্র ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস শৈত্য প্রবাহ হতে পারে।
চলতি মাসে শীতের পাশাপাশি দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিশেষ করে নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতে কুয়াশা বেশি বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রাজধানী ও চট্টগ্রামের আকাশে মেঘ বেশি থাকায় শীত খুব একটা অনুভূত হয়নি। শনিবার মেঘ সরে গিয়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এই দুই শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেড় থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে। আগামী কয়েক দিন শীতের তীব্রতা ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতেও বাড়তে থাকবে।
শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ২৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে শুক্রবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং রাজারহাটে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় সেখানে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৬, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৪, রাজশাহী ১৩ দশমিক ৮, রংপুরে ১১ দশমিক ৬, খুলনায় ১৫ দশমিক ০ এবং বরিশালে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।