পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অমৃতা। যদিও অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
এদিকে অমৃতা পাণ্ডের মরদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যমে একটি রহস্যজনক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। যা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্নের। সেই পোস্টে লেখা ছিল, ‘তার জীবন দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছিল। আমি আমার জীবনের নৌকা ডুবিয়ে তার সফর সহজ করে দিয়ে গেলাম।’
অভিনেত্রীর ঘণিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরেই অমৃতা অবসাদে ভুগছিলেন। তার বেশ কিছু মানসিক সমস্যাও দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসাও চলছিল। এসবের মাঝেই আত্মহত্যার খবর মিলল।
পুলিশ জানিয়েছে, অমৃতা তার স্বামীর সঙ্গেই মুম্বাইতে থাকেন। তবে সম্প্রতি তিনি বিহারের ভাগলপুর এসেছিলেন এক আত্মীয়ের বিয়েতে। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত অভিনেত্রী জেগে ছিলেন। এরপর রহস্যজনক সেই স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্কের কোনো অশান্তির কারণেই এমন পথ বেঁছে নিয়েছেন তিনি।