বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ফুটবলের চাহিদা পূরণে এবার পেয়েছে পার্টনার। জাপানের বিখ্যাত বল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মলটেন এর সঙ্গে তিন বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাফুফে। যার ফলে বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হবে বাফুফের।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর বাফুফেকে ২ হাজার বল বিনামূল্যে দেবে মলটেন। আর অতিরিক্ত ২ হাজার বল দেবে সাশ্রয়ী মূল্যে। এই চুক্তির মাধ্যমে তিন বছরে বাফুফে প্রায় দেড় কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সহ-সভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম। এই সাশ্রয়ী অর্থ বাফুফে ভবিষ্যতে অন্যান্য ক্রীড়া সামগ্রী ও খাতে ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে।
ফাহাদ করিম বলেন,‘আগে আমরা বলের খাতে এএফসি’র (এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন) অর্থ ব্যবহার করতাম। এখন সেই খরচ কমিয়ে ওই অর্থ অন্য কাজে ব্যবহার করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
২০২৪ সালে বাফুফে মলটেনের কাছ থেকে তিন হাজারের বেশি বল ক্রয় করেছিল। তবে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৪ হাজার বল প্রয়োজন হয়। অতিরিক্ত বল কিনতে হলে বাফুফে অন্য কোম্পানির বলও সংগ্রহ করতে পারবে। মলটেন সে ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেবে না।
দেশের জেলা, ক্লাব ও একাডেমি পর্যায়ে পর্যাপ্ত বল সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে বাফুফে। যা দীর্ঘদিন ধরে ক্লাবগুলোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফাহাদ করিম জানান,‘ম্যাচ বল দিয়ে অনুশীলন করতে না পারার অভিযোগ ছিল ক্লাবগুলোর। এবার সেই সমস্যা সমাধানের দিকে এগোতে পারবে।’
মলটেনকে পার্টনার হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, বাজারে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হলেও মলটেন বিনামূল্যে বল সরবরাহের সংখ্যায় অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল।ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় মলটেন বল ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মলটেন কর্পোরেশনের এশিয়ান গ্রুপ লিডার তাকাশি ওজাকি বলেন, ‘ফুটবল শুধু খেলা নয়, এটা একটি আবেগ। আমরা চাই সবাই মলটেনের মাধ্যমে এই আবেগের অংশ হোক। বাফুফের অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত।’
চুক্তিতে বাফুফের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ফাহাদ করিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ও ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরি হ্যাপি।