উয়েফা ন্যাশন্স লিগের এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের কাছে হেরে বসেছিল ফ্রান্স। এবার বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিল গত বিশ্বকাপের রানারআপ ক্রোয়েশিয়া। লিগ ‘এ’-এর গ্রুপ ওয়ানের ম্যাচে আজ ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ফ্রান্স। ২ ম্যাচ শেষে ১ হার ও ১ ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করছে দিদিয়ের দেশমের দল। অন্যদিকে সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে ক্রোয়েশিয়া। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স। আর ক্রোয়েশিয়া হেরেছিল অস্ট্রিয়ার কাছে।
স্কোয়াডের গভীরতা দেখাতে ডেনমার্কের বিপক্ষে যে একাদশ খেলেছিল, তার চেয়ে একবারে আলাদা একাদশ নামায় ফ্রান্স। হুগো লরিস, আতোঁয়া গ্রিজম্যান এবং কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড়দের রাখা হয় বেঞ্চে। এমনকি একাদশে রাখা হয়নি করিম বেনজেমাকেও। মাঠের খেলায়ও এর প্রভাব পড়ে। প্রথমার্ধে প্রায় বলার মতো কোনো আক্রমণ করতে পারেননি বেন ইয়েদের-এনকুককুরা।
প্রথমার্ধে ফ্রান্স বা ক্রোয়েশিয়া কোনো দলই প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকদের পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। বিশেষ করে ফ্রান্স তুলনামূলকভাবে বলের দখলে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও গোলমুখে সেভাবে শটই নিতে পারেনি। বরং ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রাইকার বুদিমির কয়েকবার ফরাসি রক্ষণকে পরীক্ষায় ফেলেন। কিন্তু ক্রোয়াটরা ফিনিশিংয়ের অভাবে সফল হয়নি। বিরতির আগে ফ্রান্স কিছুটা চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ বাধা হয়ে দাঁড়ান।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে। ফলও আসে দ্রুতই। ৫২তম মিনিটে আদ্রিয়েন র্যাবিয়টের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। বাঁদিক থেকে বেন ইয়েদের পাস ধরে ডি বক্সে ঢুকে আচমকা শটে বল জালে জড়িয়ে দেন র্যাবিয়ট। ফরাসিরা এই লিড ধরে রাখে ৮০তম মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এরপর তারা পেনাল্টি উপহার দেয় ক্রোয়েশিয়াকে। ফ্রান্সের ডি বক্সে ক্লসের দ্বারা ফাউলের শিকার হন ক্রামারিচ। রেফারি অনেকটা সময় ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। আর তা থেকে সমতা টানেন ক্রামারিচ নিজেই।
সমতায় ফিরে আগ্রাসী হয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। তাদের কয়েকটি আক্রমণ ফ্রান্সের রক্ষণে বাধা পায়। অন্যদিকে প্রতি আক্রমণ থেকে গোল পেতে পারতো ফ্রান্সও। ক্রোয়েশিয়ার এক ডিফেন্ডারের ভুল কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন গ্রিজম্যান। কিন্তু গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে পরাস্ত করে ফাঁকা জালেও বল জড়াতে ব্যর্থ হন আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড। বাকি সময় ব্যবধান বাড়াতে না পারায় ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।