ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ বেশ পুরনো। নজরদারি অ্যাপ পেগাসাসের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চালানোয়, বিশ্বজুড়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে ইসরায়েলি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনএসও। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদেশগুলোর তোপের মুখেও পড়তে হয় দেশটিকে।
ফিলিস্তিনি মানবাধিকারকর্মীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ইসরায়েলি অ্যাপ পেগাসাস ব্যবহারের অভিযোগে শুরু হয়েছে তোলপাড়। নজরদারি অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে ছয় মানবাধিকারকর্মীর ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে প্রমাণও পেয়েছে কানাডাভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এবং অ্যামনেস্টি। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা।
মানবাধিকার কর্মী উবাই আবুদি জানান, ইসরায়েলের পেগাসাস সফটওয়্যারের মাধ্যমেই নজরদারি করা হচ্ছিলো। আর তাই কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না ইসরায়েল। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এমন অ্যাপ কোনোভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয়। আল হক ফাউন্ডেশন, অ্যাডমহির এবং বিসান সেন্টারের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ৬ কর্মীর ওপর চালানো হয় এই নজরদারি। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানান মানবাধিকারকর্মীরা।
আল হক ফাউন্ডেশন মানবাধিকারকর্মী তাহসিন ইল্লিয়ান বলেন, আমার এক সহকর্মী মোবাইল সেটে সমস্যা পেয়ে সেটা পরীক্ষার পর তাতে নজরদারি অ্যাপের অস্তিত্ব পান। এরপর সেটা কানাডার একটি গবেষণাগার এবং অ্যামনেস্টিতে পরীক্ষা করান। সেখানেও নিশ্চিত হয় যে ফোনে পেগাসাস অ্যাপ রয়েছে। ওরা আমাদের রাষ্ট্র দখল করেছে, এখন ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও নিরাপদ নয়। এর আগে, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ইসরাইলি সাইবার গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা সংস্থা ‘এনএসও’কে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।