রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আবদুল্লাপুর মৃধা পাড়ার সুলতান (৪৫), কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ডাংহাট গ্রামের মমিনুর রহমান (৩৪), বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেবচন্ডি গ্রামের মুকুল ইসলাম ওরফো পটল (৪১), আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রামের রাকিব শেখ (২০) ও শাকিল শেখ (২৩), কাহালু উপজেলার আড়োলা গ্রামের আল-আমিন (১৯) সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর বটতলা লাদেন (২২)। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি বোল্ট বাটার, ১টি এসএস পাইপ, ১টি লোহার তৈরি শাবল, ১টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও লুট হওয়া মালামালের মধ্যে- ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি কানের দুল, ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি চেইন, ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি কানের দুল, ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি চেইন, ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি ব্রেসলেট, দেড় আনা ওজনের স্বর্ণের ২টি আংটি, নগদ সাড়ে তিন হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, ফেলে যাওয়া জুতা ও কাপড়ের ব্যাগের সূত্র ধরে ঘটনার পর থেকে সদর থানা পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এবং ডাকাতদের শনাক্ত করে একাধিক টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা হলেও প্রত্যেকে ৩-৪টি করে বিয়ে করেছে। তারা ডাকাতির পর শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করেছিল। সেখান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার বিকেলে তাদেরকে কামাল হোসেনের দায়ের করা ডাকাতি মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।