ফের দামের উত্তাপ চালের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের। সবধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪-৫ টাকা পর্যন্ত। মৌসুমের শুরুতে নতুন ধান ওঠার সময়ে এমন অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির জন্য বড় বড় কোম্পানির কারসাজিকে দুষছেন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা। এদিকে মিলাররা ধানে সংকট এবং উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার অজুহাত তুলে ধরছেন। ক্রেতাদের অভিযোগ, নজরদারির অভাবে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি চালের বাজার।
এবার মোট ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। ফলে চাল উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার টন। তবে এসব তথ্য কেবল কাগুজে স্বস্তি আনছে! করছাড়ের সুবিধায় বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি। কিংবা বাম্পার ফলনের সুফল বাজারে নেই। গত ছয়মাস ধরে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির চালের বাজারে নতুন করে দাম বেড়েছে। মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে চালের এতটা দাম বৃদ্ধিতে মাথায় হাত ক্রেতাদের।
ছয় মাস আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজির চাল, দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা ৭০ থেকে ৮৫’র কোঠায়। গত সপ্তাহে যে মিনিকেট কেনা গেছে ৬৮ টাকায়। আজকের বাজারে তার জন্য গুণতে হবে ৭৫ টাকা। ৭২ টাকার নাজিরশাইলের জন্য গুণতে হবে ৮৫। আর বাজারে সবচেয়ে কমদামি ৫৫ টাকা কেজির বিআর-২৮ জন্য দিতে হবে ৬০ টাকা।
নতুন মৌসুমের চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। আমদানিও হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে দাম কমার কথা, সেখানে উল্টো চিত্র। কিন্তু কেন ? এরজন্য গুটি কয়েক বড় কোম্পানির কারসাজিকেই দুষছেন বিক্রেতারা। হঠাৎ দাম বৃদ্ধির জন্য বরাবরের মত ধানের সংকটকে দায়ী করছেন মিলাররা। বলছেন, এবার লোডশেডিংয়ের জন্য চালের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বছরে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৫৭ লাখ টন। যার মধ্যে ৫৪ শতাংশ আসে বোরো থেকে আর ৩৭ শতাংশ আসে আমন মৌসুম থেকে। বাকীটা আউশ এবং আমদানি করে মেটানো হয়।