শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি চালের বাজার ঘুরে চালের বাড়তি দাম দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান এলাকার সবচেয়ে বড় বাজার হাজী জয়নাল আবেদিন বাজার। এখানে চালের দোকান আছে গোটা বিশেক। বাজারটির ব্যবসায়ীদের ভাষ্য— তারা আশপাশের কয়েক এলাকায় পাইকারি দামে চাল সরবরাহ করেন। একই সঙ্গে খুচরা দামেও বিক্রি করেন। ফলে এই বাজারে তুলনামূলক দাম কম।
বাজারটির চাল বিক্রেতা মঈনুদ্দিন ভূইয়া ঢাকা মেইলকে জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে মোট ও চিকন সব চালেরই দাম বেড়েছে।
এর মধ্যে পাইজাম বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহেও ৫০ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে ছিল। পাইজামের চাইতে মোটা চাল গুটি। সেখানেও কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।
ঈদের আগে হুট করে দাম বাড়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুয়েরা। তাদেরই একজন সাজ্জাদ হোসেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই চাকরিজীবী ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘কী কারণে দাম বেশি, এটা দোকানদারও জানে না। আমরা তো দেশের টুকটাক খবর রাখি। ফসল নষ্ট হয়নি। কোনো সমস্যা হয়নি। ব্যবসায়ীদের মন চাইলো, তারা দাম বাড়িয়ে দিলো। আমাদের টাকা তো হিসাব করা। বাড়তি খরচটা কোথা থেকে করবো?’
রিকশাচালক মো. লিটন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ইফতারের পর রাস্তায় যাত্রী থাকে না। আমাদের ইনকাম কইমা গ্যাছে। কিন্তু জিনিসের দাম বাইড়া গেছে। মাছ, মাংস তো কিনতেই পারি না। চাউলের দামও যদি বাড়ে, আমরা কই যামু!’
বাজারে এই মুহূর্তে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে মোটা চাল হাইব্রিড। অন্যান্য চালের দাম বাড়লেও এই চালের দাম অপরিবর্তিত আছে। বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। তুলনামূলক চিকন চালের মধ্যে দাম বেড়েছে মিনিকেটের। কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়ে ধরণভেদে এই চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
দাম বাড়ার মিছিলে পিছিয়ে নেই ধনীদের চাল হিসেবে পরিচিত নাজিরসাইল। কেজিতে বেড়ে ৪ টাকা। নগরীর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে।