আইসিইউ, সিসিইউ আর প্রয়োজনীয় সেবা চালু করতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ১১কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মাত্র ১০টি আইসিইউর বেড বসিয়ে গতবছরের ১৭ মে তার উদ্বোধন করা হয়েছিল। আইসিউ সেবার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ডা. আসিফ ইকবাল ও ৫ জন নার্সকে। করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এ জেলায় রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় সংকটাপন্ন রোগীরা আইসিইউর অভাবে মারা যাচ্ছেন। অথচ উদ্বোধনের ১১ মাস পার হতে চললেও এখনো চালু হয়নি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। যে ১০ টি বেড বসানো হয়েছে সেগুলোও ব্যবহার না হওয়ায় মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের ২য় ও ৩য় তলায় আইসিইউ-সিসিইউ স্থাপনের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মঈনউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে। কীভাবে ১১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সে তথ্য দিতে নারাজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কারণ হিসেবে বলেছেন, ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ফেনীর সঙ্গে যোগাযোগ সুবিধার কারণে বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, চট্টগ্রামের মিরসরাই ও খাগড়াছড়ি জেলার মানুষ এ হাসপাতালে সেবা নিতে আসেন। এই হাসপাতালে আইসিইউ-সিসিইউ ইউনিট চালু করা হলে মুমূর্ষু ও সংকটাপন্ন রোগীদের জরুরী ভিত্তিতে আর ঢাকা, চট্টগ্রাম স্থানান্তর করতে হতোনা।
করোনা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী হাসপাতালটিতে মারা গেছেন। বর্তমানে এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪২ জন। এর মধ্যে ১৩ জন করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করতে একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসক, ৩ জন কনসালটেন্ট ও ৬ জন মেডিকেল অফিসার প্রয়োজন। তাদের নিয়োগ দেয়া হলেই আইসিউ ইউনিট চালু হবে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, করোনার সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটরের চেয়ে অক্সিজেন গুরুত্বপূর্ন। নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবার প্রস্তুতি চলছে। খুব শীঘ্রই দুই শয্যা চালু করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে