গাজা ও পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনের সব অঞ্চল থেকে অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবে আগামী এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের ‘অবৈধ দখলদারিত্ব’বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া দখলদারিত্বের কারণে ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিপূরণের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছে। খবর আল জাজিরার।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটের ব্যবধানে গৃহীত হয়।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২৪টি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, আর্জেন্টিনাসহ বিপক্ষে ভোট দেয় ১৪টি দেশ। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারতসহ ৪৩টি দেশ।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে এটি বাস্তবায়নের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) যে পরামর্শমূলক মতামত দিয়েছে, নতুন প্রস্তাবে তাকেই সমর্থন করা হয়েছে। আইসিজে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের উপস্থিতি বেআইনি এবং অবশ্যই এর শেষ হওয়া উচিত।
যদিও সাধারণ পরিষদে গৃহীত হলেও প্রস্তাবটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে না। তবে এর সমর্থনে বিশ্ববাসী কী চায় সেই জনমত প্রকাশ করবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কয়েক লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি খান ইউনিসে চলে যায়।
১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার তিন শ’র মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাড়ে ৯৫ হাজার মানুষ। হামলার পর থেকে বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১১ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।