বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর লাল-সবুজের জার্সিতে খেলা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। কদিন আগেই তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট হয়েছে। তাকে পেতে ইংল্যান্ড ফুটবল এসোসিয়েশনের (এফএ) কাছে অনাপত্তিপত্র চেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সপ্তাহ তিনেক অপেক্ষার পর বাফুফেকে ইংল্যান্ড সেই অনাপত্তিপত্র দিয়েছে।
বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা হামজা চৌধুরীকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন। এরই মধ্যে এবার বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার পেজে উঠে আসলেন হামজা। ফিফা ফুটবল ওয়ার্ল্ডকাপ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হামজার ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, নতুন বাংলাদেশের আগামীর গর্ব হামজা।
হামজা চৌধুরীর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিস্টার সিটির হয়ে খেলেন। তার পরিবার বাংলাদেশি। পরিবার ও নিজের ইচ্ছায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে প্রথমে প্রয়োজন ছিল পাসপোর্ট। বাফুফে ও তার পরিবার যৌথ প্রচেষ্টায় পাসপোর্ট করেছে।
বাফুফে এখন হামজাকে বাংলাদেশে খেলানোর জন্য ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করবে। পাসপোর্ট, ইংল্যান্ড ফুটবল এসোসিয়েশনের অনাপত্তিপত্র চিঠিসহ আরও কিছু কাগজপত্র নিয়ে এই আবেদন করবে বাফুফে। ফিফা প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি সবুজ সংকেত দিলেই হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
এর আগে হামজা ইংল্যান্ড যুব দলের হয়ে খেলেছেন। কোনো দেশের যুব দলের হয়ে খেলার কারণে তাদের ফেডারেশনের অনুমতি প্রয়োজন হয় অন্য দেশের জার্সি গায়ে তোলার ক্ষেত্রে। বাফুফে পাসপোর্ট হওয়ার পর ইংল্যান্ড ফুটবল এসোসিয়েশনের কাছে হামজার জন্য অনাপত্তিপত্র চায়। ইংল্যান্ড এফএ বাফুফের আবেদন বিশ্লেষণ করে হামজাকে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে।